
ছবিঃ সংগৃহীত
কাউনিয়ায় চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করেছেন কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এমদাদুল হক ভরসা।
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—"যারা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নাম ব্যবহার করে এসব অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এ বিষয়ে কোনো আপস নয়। সৎ, জনকল্যাণমূলক এবং গণমুখী রাজনীতিই বিএনপির আদর্শ।"
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সফি বলেন, কাউনিয়া উপজেলায় এরকম কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা জমি দখলের অভিযোগ নেই। যদি কারো বিরুদ্ধে এ রকম অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিনুর রহমান জানান, "কারো নিজস্ব অপরাধের দায় দল নেবে না। আর যারা অপরাধ করে তারা অপরাধী—সে কোন দলের, তা মূল বিষয় নয়। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।"
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।
যেখানেই যার বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যাচাই সাপেক্ষেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবুও থামছে না এক শ্রেণির অসাধু নেতাকর্মীর এসব কাজ। তাদের অন্যায়-অপকর্মের গ্লানি টানতে হচ্ছে দলের নীতিনির্ধারকদের। স্থানীয়ভাবে এসব নেতাকর্মীর অপকর্মে বিব্রত দলটির শীর্ষ নেতারা।
ইমরান