
ছবি: সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি। হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। এ ঘটনায় তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা ফখরুলের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় শনিবার (১২ জুলাই) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়। সমীর উদ্দিন স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে ভোট গণনার সময় সভাপতি পদে প্রার্থী অ্যাড. সৈয়দ আলম (ছাতা মার্কা) ও আবু হায়াত নুরুন্নবী (চেয়ার মার্কা) উভয়ে ২৪২টি করে ভোট পান।
তবে ফল ঘোষণা না হতেই অ্যাড. সৈয়দ আলম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ড. টিএম মাহবুবর রহমানের নেতৃত্বে একদল উশৃঙ্খল কর্মী গণনা কক্ষে ঢুকে নির্বাচনী কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং স্বাক্ষরবিহীন খসড়া ফলাফল ছিনিয়ে নেন। পরে তারা নিজেদের পক্ষে ফল ঘোষণা দিতে নেতৃবৃন্দকে চাপ দেন, গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেন। প্রায় চার ঘণ্টা নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন নিজেই গণনাকক্ষে ছুটে আসেন এবং কৌশলে নেতাদের বের করে আনেন। তবে তিনতলা থেকে নামার সময় তার উপর হামলা চালানো হয়। তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। তাকে রক্ষায় আগত নেতাকর্মীরাও হামলায় আহত হন।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্মেলনের ভোটের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী। একইসঙ্গে যারা বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতায় জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় তদন্ত এবং সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।
আসিফ