ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলে পদযাত্রা কর্মসূচির শেষ দিনে সিরাজগঞ্জে জনসভায় নাহিদ ইসলাম

রাষ্ট্রের সংস্কার ও উন্নয়নে আমরা বিশ্বাসী

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ৭ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রের সংস্কার ও উন্নয়নে আমরা বিশ্বাসী

ছবিঃ সংগৃহীত

সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের দাবি নিয়ে মাঠে নামা নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র লক্ষ্য রাষ্ট্র পরিচালনায় ফ্যাসিবাদী সিস্টেম বিলোপ করে নতুন দেশ গঠন। আমরা মনে করি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা এখনো বিলোপ হয়নি। আগের সিস্টেমই বিদ্যমান। সেই সিস্টেমের বিলোপ করে নতুন দেশ গঠনের জন্যই আমাদের এই নতুন পার্টি এবং কর্মসূচি। এনসিপি সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশকে ভালোবাসি, রাষ্ট্রের সংস্কার ও উন্নয়নে আমরা বিশ্বাসী। কথায় নয়, আমরা দেশবাসীকে আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে চাই।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলে পদযাত্রা কর্মসূচির শেষ দিনে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন চত্বরে এক জনসভায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার লক্ষ্যে এবং জুলাইয়ে শহীদদের রক্ত ও আত্মত্যাগকে আমরা যুগ যুগ ধরে স্মরণ করব। এ রাজনৈতিক দলটি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো নয়। আমরা দেশবাসীকে আমাদের কাজে তা প্রমাণ দিতে চাই। সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনের মুক্তির সোপানে উন্মুক্ত মঞ্চে এক পথসভায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।

দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। সব শ্রেণির মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে এনসিপির সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। এ সময় নতুন আঙ্গিকে রাষ্ট্র গঠন ও জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দেন এনসিপির নেতারা। উক্ত পথসভায় বক্তব্য প্রদান করেন উত্তরবঙ্গের সমন্বয়ক সারজিস আলম, দক্ষিণবঙ্গের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক সামান্তা শারমিন, প্রথম সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মাহিন সরকার, হাসান সাইধ মোস্তাওসহ অন্যান্যরা।

এনসিপির হাতকে শক্তিশালী করা এবং তরুণ ও নতুন নেতৃত্বকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র, মৌলিক সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং নতুন সংবিধানের জন্য আমরা লড়াই করছি। তাই অবশ্যই জুলাই-আগস্টের মধ্যে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র দিতে হবে এবং সাংবিধানিক ভিত্তি থাকবে জুলাই ঘোষণাপত্রে। যে কারণে আমাদের দেশের হাজারো মানুষ রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে— আমরা তাদের স্মরণ করতে চাই। তাদের আত্মত্যাগ ও আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতেই বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের কৃষি শিল্প, বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প গত ১৭ বছরে অবহেলার শিকার হয়েছে। দেশের মানুষের মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে। এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়। গণঅভ্যুত্থানের পর এটি হবে ছাত্রজনতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশপন্থিদের হাতেই বাংলাদেশ চলবে। সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের যেসব অবহেলিত জেলা রয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ইমরান

×