
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব বদিউর রহমান মন্তব্য করেছেন, “দেশে এখন গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি।” বুধবার এক আলোচনায় তিনি এনবিআরের সাম্প্রতিক শাটডাউন পরিস্থিতি এবং সরকারি প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে আমি অত্যন্ত লজ্জিত। এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সংস্কার পরিষদ’ নামে যা করেছে, সেটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। টোটাল শাটডাউন—এটা কখনোই কাম্য নয়। আরও লজ্জার বিষয় হলো, এতগুলো জ্ঞানী বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা এবং সরকার থাকা সত্ত্বেও কেউ এই সমস্যা সমাধান করতে পারল না।”
নিজের ছাত্রজীবনের অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে বদিউর রহমান বলেন, “আমি যখন ১৯৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পড়তাম, তখন আমার সুপারভাইজর ছিলেন ড. এলান বিসমেন্ট। সেখানে একবার স্ট্রাইক চলছিল। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তোমরা তো স্ট্রাইকে, তাহলে আমার অ্যাসাইনমেন্ট দেখছ কেন?’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা স্ট্রাইক করছি সরকারের সঙ্গে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে, ছাত্রদের লেখাপড়া বন্ধ করার জন্য নয়।’ কারণ, শিক্ষার সঙ্গে আন্দোলনের বিভাজন থাকা উচিত।”
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “ওখানে ‘ডক্টর’ লেখা হয় না। কারণ, ডক্টরেট যেভাবে আমাদের দেশে গরু-ছাগলের মতো দেওয়া হয়, ওখানে তা হয় না। এখানে ডক্টরেট ডিগ্রির এত অপব্যবহার হচ্ছে যে মনে হয় গরু-ছাগলের চেয়েও দেশে ডক্টরের সংখ্যা বেশি।”
এনবিআরের শাটডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই সংকট সমাধান করল কে? সরকার না, করল ব্যবসায়ীরা। তাহলে কি ব্যবসায়ীরাই সরকারের চেয়েও বেশি শক্তিশালী? ”
বদিউর রহমান বলেন, তারা দুই পক্ষে যায় করলো তাইলে গোটা এই সরকার কি করলো? সরকারটাকে তো এমনি আমি বলি দুর্বল সরকার। গভর্মেন্ট হওয়া দরকার শক্ত।
সানজানা