
ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “আমি কখনও হারামের টাকার কাছে মাথা নত করিনি। এমপি নির্বাচিত হলেও কোনো হারামের টাকা পেটে যাবে না। আল্লাহর রহমতে আমি ভালো আছি, যদিও আমার ব্যক্তিগত সম্পদ নেই। ভবিষ্যতেও আগের মতোই জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।”
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোকরানা সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আজহারুল ইসলাম আরও বলেন, “আমি ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের সমর্থন না পাওয়ায় এমপি হতে পারিনি। আমরা কখনও ভোট সেন্টার দখল বা ভোটারদের জোর করে নিয়ে গিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে চাই না। আগামী নির্বাচনে বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো এবং আপনাদের ওপর আস্থা রেখে কাজ করবো।”
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এই জামায়াত নেতা অভিযোগ করে বলেন, “দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। যারা আগে বিচারের নামে আমাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে, তাদের প্রকৃত রায় প্রকাশ হলে বোঝা যাবে তা ছিল অন্যায় হত্যাকাণ্ড। যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। অন্যথায় দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে না।”
তিনি বলেন, “আদালত একসময় দলীয় প্রভাবের অধীনে ছিল, তবে এখন কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আমি আমার নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পেয়েছি। অথচ একসময় আমার ফাঁসির রায় হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহর রহমতে আমি আজ মুক্ত। কিন্তু যেসব বিচারক সেই রায় দিয়েছেন, তারা আজ কোথায়?”
তিনি আরও বলেন, “যে অভিযোগে আমাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল, আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি— আমি সেই অপরাধে জড়িত ছিলাম না। মিথ্যা অভিযোগ ও সাজানো সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। বিচারপতিরা যদি বিবেকবান হতেন, তাহলে এ রায় দিতেন না। এই ধরনের বিচার ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ কখনও ন্যায়বিচার পাবে না।”
অতীতের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। মীর কাশেম সাহেব বিদেশে থাকলেও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দেশে ফিরেছিলেন। তাকেও সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়। অথচ যারা বলেছিল ‘দেশ ছাড়বো না’, তারাই পরবর্তীতে পালিয়ে গেছে। দেশপ্রেমহীনদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।”
শিহাব