
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যাদের বয়স নাতির সমান, তাদের কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। রোববার বিকেলে বগুড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন— যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “মানবিক করিডর কিংবা চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে মতপ্রকাশ এখন মহাপাপের শামিল হয়ে গেছে। এই বিষয়ে কথা বললে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে বিবেচিত হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।” তিনি আরও বলেন, “সরকারের কিছু উপদেষ্টার অযোগ্যতা ও অদূরদর্শিতার কারণেই অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “কোন কোন দল নিজেদের স্বার্থে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়। তবে আমরা সেই চক্রান্ত প্রতিহত করব তারুণ্যের শক্তির মাধ্যমে।” তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করতে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে পতিত সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম, এখন তারুণ্যের নেতৃত্বে সামনে এগিয়ে যাব।”
তারুণ্যের এই সমাবেশে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার ১২২ উপজেলার নেতাকর্মী ও সাধারণ তরুণরা অংশ নেন। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে দুপুর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হতে থাকেন তারা। বিকাল ৪টার মধ্যেই ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।
নেতারা বলেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য তরুণ সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন ছাত্রদল সভাপতি।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ, প্রায় ৪ কোটিরও বেশি ভোটার তরুণ। আগামী দিনের সংকট মোকাবেলায় এ বিশাল যুব জনগোষ্ঠীই হবে বিএনপির প্রধান শক্তি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দেন তারা।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=_L9fdEZ3aKA
এম.কে.