
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দুই দিনব্যাপী জেলা ও মহানগরী আমীর সম্মেলন আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মোঃ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং জেলা-মহানগরের আমীররা।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “দীর্ঘ ১৪ বছর পর এমন আয়োজন করতে পারছি, এজন্য আল্লাহর দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা বিরোধী দল ও বিশেষ করে ইসলামপন্থীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে, যার মধ্যে তিনটি গণহত্যার কথাও তিনি তুলে ধরেন—পিলখানা ট্র্যাজেডি, ৫ মে শাপলা চত্বর, এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ঘটনা।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমাদের অগ্রাধিকার ছিল শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে চেষ্টা করেছি।”
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হতে হবে। এর জন্য অপরাধীদের দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন ব্যবস্থায় আনুপাতিক পদ্ধতি চালুর দাবি জানাই।”
তিনি জানান, “আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে ছোট-বড় দল সকলেই যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব পাবে, কেউ কারো দয়ার পাত্র হবে না।”
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিটির সুপারিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, “কিছু প্রস্তাব বিদ্যমান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এসব গ্রহণযোগ্য নয়।”
বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে গত ১৫ বছরে প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য আছে। এসব অর্থ ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।”
সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াত আমীর বলেন, “আপনারা জাতির আয়না। দয়া করে সাহসিকতার সাথে সত্য তুলে ধরুন। দেশ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।”
সম্মেলনে দেশের চলমান পরিস্থিতি, নির্বাচন, বিচার ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। বক্তব্য শেষে তিনি সকলের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানান।
আসিফ