
ছবি: সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতা ফারুক হাসান অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকার রাজনৈতিক সংস্কারের নামে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। তার ভাষায়, সংস্কারের নামে আজকে আমরা শুভঙ্করের ফাঁকি দেখতে পাচ্ছি।
শনিবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিগত সাত-আট বছরে গণঅধিকার পরিষদকে কিনতেও পারেননি, দমন করতেও পারেননি। আগামীতেও কোনো রাজনৈতিক শক্তি গণঅধিকার পরিষদকে আটকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরাই ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের বীজ বপন করেছিলাম। সেই বীজ থেকেই ২০২৪ সালে একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট দুঃশাসনকে উৎখাত করার পথে এগিয়েছি।
ফারুক আরও বলেন, আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কৃষকের সন্তানও নিজেকে সংসদ সদস্য হিসেবে কল্পনা করতে পারছে। ২০২৩ সালের আগে এমন চিন্তা সম্ভব ছিল না। অন্য কোনো দলের শততম সারির কোনো নেতা যদি এই ঘোষণা দিত, পাঁচ মিনিটের মধ্যেই হয়তো তার লাশ পাওয়া যেত।
সম্প্রতি ছাত্রনেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলামকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলে ফারুক তাতে সমর্থন জানিয়ে বলেন, এই আকাঙ্ক্ষা গণঅধিকার পরিষদই তৈরি করেছে। কারণ, বিগত ৫৪ বছরে শুধুমাত্র দুই বড় দলের নেতারাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হতেন। সাধারণ মানুষের সেই স্বপ্ন দেখার সুযোগ ছিল না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এই কমিশনে এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে, যারা আওয়ামী আমলে সুবিধাভোগী ছিলেন। তাদের কারও গায়ে কোনো হামলা-মামলার দাগ লাগেনি। এটা কেমন সংস্কার?
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বহুত্ববাদের নামে এখন সরকার দেশে সমকামিতার মতো বিষয় বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ইনশাআল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে এই অপচেষ্টা সফল হবে না।
এসএফ