কোনো বিষয়ে দায়মুক্তি দেওয়াকে সমর্থন করে না বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি ( সিপিবি)। সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জানতে পারলাম, ‘‘অন্তর্বতী সরকারের ‘সব কাজ বৈধ’, মেয়াদ অনির্দিষ্ট’’ রেখে অধ্যাদেশ জারির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়, বরং নিন্দনীয়। আমরা সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে চাই। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সিপিবি নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, কোনো বিষয়ে দায়মুক্তি দেওয়াকে আমরা সমর্থন করি না। যেকোনো দায়মুক্তির ঘটনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতাই তৈরি করে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য হলো পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথকে মসৃণ করা। এই কাজটিকে প্রাধান্য দিয়ে অন্তবর্তী সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
বিবৃতিতে এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে এবং এ ধরনের কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করার আগে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে সব ধরনের দায়মুক্তি আইন প্রণয়নের পথ থেকে সরে আসার জন্য অন্তর্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এতে শিল্পকলা একাডেমিতে তথাকথিত ‘মব’ এর কাছে নতি স্বীকার করে নাটক বন্ধ করে দেওয়া ও নাট্যজনদের প্রতিবাদ সভায় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা বন্ধ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এসবের বিরুদ্ধেই সচেতন দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিদেশে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনায়ও নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও, এমনকি কোর্ট কাচারিতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ও সুযোগ বুঝে কাউকে কাউকে হেনস্তা করা করা হচ্ছে। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ঘটনা চলমান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে ব্যাহত করবে।
বিকাশ দত্ত