ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

হামলার বিচার চেয়ে কাঁদলেন বিএনপির নেতা

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ২ অক্টোবর ২০২৪

হামলার বিচার চেয়ে কাঁদলেন বিএনপির নেতা

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হক। ছবি: জনকণ্ঠ

বরগুনার তালতলীতে বিএনপির জহিরুল হক ছোট্ট ও ইমরান হোসেন ফোরকানের ওপর সাবেক যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লিটুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হকসহ ভুক্তভোগী পরিবার। 

নেতাকর্মীদের ওপরে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার বর্ননা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শহিদুল হক। একই সাথে হামলায় জড়িত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচার দাবি করেন তিনি।

বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তালতলী প্রেস ক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শহিদুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে বিএনপির কোনো দলীয় কর্মকাÐে অংশগ্রহন করেন নাই কিন্তু ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পরেই ৮ আগষ্ট মাথাচারা দিয়ে উঠছেন ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা। তিনি এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও সাবেক যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লিটুর বাহিনীকে দলে প্রবেশ করিয়ে দখলদারি,চাঁদাবাজী ও বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে দলকে দুর্বল করার আওয়ামী লীগের মিশন বাস্তবায়ন করেছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে আওয়ামী সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তালতলি  বাজারে শোডাউন দেয়। এসময় ডাচ্ বাংলা বুথের দক্ষিন পাশে বিএনপি নেতা জহিরুল হক ও ফোরকান দাড়িয়ে ছিল।  হঠাৎ নজরুল ইসলাম লিটুসহ তার বাহিনী জহিরুল হক ছোট্টর কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে কথার কাটাকাটি হয়। 

এক পর্যায়ে তালতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এর ভাই বিএনপি নেতা জহিরুল হক ছোট্ট ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জাসাসের সভাপতি  ইমরান হোসেন ফোরকানকে ফরহাদ হোসেন আক্কাস ও নজরুল ইসলাম লিটুসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাথারি মারধর ও হাতুরি দিয়ে মাথা থেতলে দেয়। 

এ সময় স্থানীয়রা ওই দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে তালতলী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতের অবস্থা গুরুত্বর দেখে বরিশাল পাঠান। এ ঘটনায় থানায় নজরুল ইসলাম লিটু ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধাসহ ২৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন ছোট্টর ভাই দুলাল।

তিনি আরও বলেন, আক্কাস মৃধা তার নিজ আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাহিনীকে নির্শে দেন দেশীয় অস্ত্র রামদা, হাতুড়ি, রডের পাইপ,রড, স্বমিলের কাঠ ও লাকড়ি, ইটের টুকরা, মারবেল, ছটকা সংগ্রহ করে জমা রাখতে সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেন।

উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শহিদুল হক নেতাকর্মীদের ওপরে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার বর্ননা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ফরহাদ হোসেন নানা সময় বির্তকিত ছিলো দলের ভেতরে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়ে তিনি নিজেই বিএনপি নেতাদের উপরে এভাবে নৃশংস হামলা চালায়। আমি দীর্ঘদিন বিএনপির দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। 

আমি দলের হাইকমান্ডের নিকট আবেদন করছি শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রকৃত বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ষায় এই বহুরূপী, দখলদার ফরহাদ হোসেন আক্কাসকে দল থেকে বহিষ্কার ও হামলাকারী লিটুসহ তার বাহীনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তিনি আরও বলেন, নজরুল ইসলাম লিটু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতা করেছেন। যার একাধিক প্রমান আমাদের কাছে আছে।

এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা বলেন,সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা। তিনিই আওয়ামী লীগর সময় সকল সুযোগ নিয়েছে এখন তাকে দল থেকে বহিস্কার না করলে উপজেলা বিএনপি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

এসআর

×