রংপুর নগরীতে একটি হোটেলে আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জাতীয় সংগীত পরিবর্তন প্রসঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত, এটি জামায়াত ইসলামের বক্তব্য নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এ ছাড়া জামায়াতকে নিয়ে ৪৮ বিশিষ্ট নাগরিকের বক্তব্যকে অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ওয়েস্টার্ন কুজিন মিলনায়তনে ছাত্র-জনতার অভ্যুন্থানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আযমীর কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই জানিয়ে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তার একান্ত ব্যক্তিগত। সুতরাং তার বক্তব্যকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই।
জামায়াত সেক্রেটারি আরও বলেন, বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুন্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অপচেষ্টার কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবনুালে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরেও জামায়াতের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যা করে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। যার প্রমাণ দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশের সংস্কার। গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। সংবিধান, নির্বাচন কমিশনের এবং সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ হয়েছিল সেগুলোর সংস্কার করতে হবে। ১৫ বছরের এসব জঞ্জাল সাফ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। সব সংস্কার সম্ভব না হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যেগুলো করা দরকার এখন সেটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভা শেষে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্চ থেকে নেমে দর্শকসারিতে বসা শহীদ পরিবারদের সদস্যদের কাছে আসেন। তাদের জড়িয়ে ধরে কাঁদেন। এ সময় সেখানে শোকাহত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে শহীদ ১৬ পরিবারের প্রত্যেককে ১ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়।
মহানগর জামায়াতের আমীর এটিএম আজম খানের সভাপতিত্বে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, জামায়াতের জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী,মহানগর শিবিরের সেক্রেটারি নুরুল হুদাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এবি