ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

তৃণমূলের পছন্দ মোহিত উর রহমান শান্ত 

সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

তৃণমূলের পছন্দ মোহিত উর রহমান শান্ত 

মোহিত উর রহমান শান্ত

ময়মনসিংহ সদর-৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সম্পাদকসহ অন্তত ছয়জন। কিন্ত দল এবং শেখ হাসিনা আস্থা রেখেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তরুন নেতা মোহিত উর রহমান শান্তর ওপর।

কেউ কেউ ভেবেছিলেন অনেক টাকাওয়ালা প্রার্থীর ভাগ্যেই হয়তো মনোনয়নের শিকা ছিঁড়বে। কিন্তু শেখ হাসিনার চালানো তিনটি ভিন্ন জরিপে তৃণমূলের ১ নম্বর পছন্দ হিসেবে উঠে এসেছিল মোহিত উর রহমান শান্তর নাম।

ময়মনসিংহের সদর আসনটির দু’টি অংশ- শহরাঞ্চল এবং চরাঞ্চল। শহুরে তরুণ এবং চরাঞ্চলের ভোটারদের মধ্যে শান্ত ব্যাপক জনপ্রিয়। আর পরিসংখ্যানও বলে যে সবসময়েই নৌকার পক্ষে গেছে এই অঞ্চলের মানুষের ভোট। সম্প্রতি মৃত্যুবরন করেছেন মহিতুরের পিতা বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এবং এই অঞ্চলের মানুষের অভিভাবক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। যার প্রতি দলমত নির্বিশেষে এই অঞ্চলের মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসার বহি:প্রকাশ এই নির্বাচনে ঘটবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও, মোহিত উর রহমান শান্ত তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তৃণমূল পর্যায়ে। ১৯৯০ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। এরপর শহর শাখা ছাত্রলীগের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন। বিভিন্ন সময়ে তিনি শহর ছাত্রলীগ, আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচিত হন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে। পরে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আর এভাবেই তিনি ময়মনসিংহের ছাত্র ও তরুনদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

রাজপথে তার সক্রিয়তার বিপরীতে শান্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কোপানলে পড়েন। নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। ২০০২ সালে ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলার পরে, বাবা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে জোট সরকার। জেল থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হবার কারণে তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। 

তারপর  ব্রহ্মপুত্রে বয়ে গেছে কত পানি! জনতার কাতারে থেকেই ‘জনতার শান্ত ভাই’হয়ে উঠেছেন মোহিত উর রহমান।। যার স্বীকৃতি স্বরুপ ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামীলীগের প্রথম সাধারন সম্পাদক হিসেবে তাকে মনোনীত করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর এবারে তার হাতেই তুলে দিয়েছেন নৌকা । 

তিনি বলেন, আমাদের এই সদর আসনটি ময়মনসিংহ বিভাগেরও কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে জেলায় কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান।

বিভাগীয় শহরের উন্নয়নে সিটি করপোরেশন প্রশাসনকেই মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হয় এটাই নিয়ম। দুনিয়ার সব শহরেই একই নিয়ম। কিন্তু এই মহানগরের দায়িত্ব  যাদের উপর দেয়া হয়েছিল তাদের ব্যার্থতার কারনে আমরা ময়মনসিংহ সদরের নাগরিকেরা কিছু  নাগরিক সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত। 

এর কারণ হয়ত এই যে, তারা এই সদরের সন্তান নন। এই নগর তাদের সবকিছু দিলেও এখানকার মানুষ, মাটি তাদের আপন হয়ে উঠেনি কখনও। আর সে কারণেই দল আমাকে দায়িত্ব  দিয়েছে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার।

 এসআর

×