ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছয় দফা দিবসের আলোচনায় ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ৮ জুন ২০২৩

আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশী বন্ধুরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সরকারও  সেই ধরনের নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঐতিহাসিক ছয় দফা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।  
সরকারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আনার ষড়যন্ত্র করে বিএনপি নিজেরাই খাদে পড়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল নালিশ করে  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনবে। নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই খাদে পড়েছে। কারণ নিজেরাই খাদে পড়িয়া বগা কান্দে রে।
তিনি বলেন, এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে ভিসানীতি পেয়েছে। এই ভিসানীতি আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু  নেই। কে কার প্রয়োজনে কাকে ভিসা দেবে, কাকে  দেবে না, সেই  দেশের ব্যাপার। আমরা আমাদের  দেশে কাকে ভিসা  দেব, কাকে  দেব না এটা আমাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কি আছে?

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভিসানীতিতে আছে, নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা করবে, সন্ত্রাস করবে, যারা নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচনে বাধা  দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে। তারা কারা? তারা বিএনপি। সব  নেতার গলা শুকিয়ে  গেছে।
তিনি বলেন, এখন কথার ছলে আমু ভাই (আমির  হোসেন আমু) কি এক সংলাপের কথা বলেছো। তারা এটাকে আসল কথা  ভেবে, এখন সংলাপের মুলা  দেখে আবারো জিহ্বা বেরিয়ে এসেছে। হবে না। হবে না। আপাতত আমরা ভাবছি না। ভাবব কিনা,  সেটা পড়ে  দেখা যাবে। আপাতত আপনাদের সংলাপের মুলা ঝুলিয়ে  টেবিলে বসাব? গতবারের কথা মনে আছে? একবার না দু’বার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি।  রেজাল্ট কি? জগাখিচুড়ি।
দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না জানিয়ে বিএনপিকে মন না খারাপ করার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, এ নিয়ে ভেবে ভেবে মন খারাপ করে লাভ নেই। এটা আর আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। মরা কিছুকে জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা মারিনি, আদালতের আদেশে মরে গেছে। ফখরুল, আপনি কেন বারবার আওয়ামী লীগের নামে এই অপবাদ দেন? আপনাকে সতর্ক করছি। আওয়ামী লীগ কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষিদ্ধ করেনি। এটা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এ সময় বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির কর্মসূচির কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুতের শোচনীয় অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন।  
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে ফখরুল সাহেব হঠাৎ পদযাত্রা, মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ, মশার কয়েল, পাতিল পাতিল রান্না করে পিকনিক করে...সেই দিন চলে গেছে। কিছুদিন ঝিমিয়ে পড়ে এখন আবার লাফালাফি শুরু করেছে। নিজেরা বিদ্যুৎ দিতে পারেননি দিয়েছেন খাম্বা। তিনি বলেন, সংকট সারাবিশ্বে। এজন্য আমাদের দেশে সংকট হয়েছে। এর আগে কোনো সময় বিদ্যুৎ গেছে? কোনো লোডশেডিং হয়েছে? এটা বাংলাদেশে একটা উদাহরণ, বিরাট দৃষ্টান্ত। আজকে আমরা সময় চেয়েছি। আমরা জনগণকে বলেছি ১০-১৫টি দিন সহ্য করেন। সবাইকে বলছি, শেখ হাসিনা যা বলেন, তাই করেন। মুখে যা বলেন কাজে তা করেন। তাজেই তার ওপর বিশ্বাস রাখেন।

×