ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের মেয়র ও দলীয় নেতাদের সভায় কাদের

বিএনপি লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি হাসিল করেছে

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:০৪, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

বিএনপি লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি হাসিল করেছে

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিএনপি তাদের লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি হাসিল করেছে দাবি করে দলটির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবে। আক্রমণ হলে সমুচিত জবাব দিতে হবে। এ সময় রাস্তায় কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমষ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সঙ্গে যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার কথা থাকলেও বৈঠকে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে তা মহানগর নাট্যমঞ্চে করার সিদ্ধান্ত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আজকে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা করতে উস্কানি দিচ্ছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি ও জঙ্গিদের মাঠে নামিয়ে লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি বুধবার তারা কার্যকর করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে সমাবেশ করা, এটা আর হতে দেওয়া হবে না। আমরাও করব না।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ আমরা মহানগর নাট্যমঞ্চে করব। আমরা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করব না। তাদের (বিএনপি) কি দুরভিসন্ধি? তারা রাস্তায় জনসমাবেশ করতে চায় কেন? আগুন নিয়ে খেলা করবে? ভাঙচুর করবে? এই সব দুরভিসন্ধি আমরা বুঝে গেছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশের সব জেলা-উপজেলা, মহানগর, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবেন। আক্রমণ আমরা করব না, আক্রমণের উস্কানি দিলে সমূচিত জবাব দেওয়া হবে। বিজয়ের মাসে আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ। অকারণে আক্রমণ আমরা করতে যাবো না। শান্ত থেকে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের যেন কোনো দুর্নাম না হয়। আক্রমণকারী হিসেবে শুরু তারা করেছে, আমরাও দেখব।
এ সময় গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই নিরপেক্ষতার কথা বলেন, বস্তুনিষ্ঠতার কথা বলেন। পুলিশ মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে, কেউ সেই ছবি দিলেন না। বিআরটিসি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ পত্রিকায় ছবি দিলেন না। এই দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলল, সেই ছবি কেউ দিলেন না! কেন এমনটা করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটা অংশ কেন পক্ষ নিচ্ছে? পক্ষপাতিত্ব করছে? এটা আমার অভিযোগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু বিএনপি চোখে দেখে না। বিএনপি না দেখলেও মিডিয়ার তো দেখার কথা। আমরা সত্যকে তুলে ধরার কথা বলছি। বিদেশের উদ্বেগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশীরা আমাদের বন্ধু, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটা এক পেশে, এটা উচিৎ নয়। আমরা আপনাদের বন্ধু, আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করবেন না। জনতা কার সঙ্গে সেটা যদি দেখতে চান তাহলে, যশোর, চট্রগ্রাম কক্সবাজারের সমাবেশ দেখুন, বুঝতে পারবেন। জনগণ কি চায় বুঝতে পারবেন।

পরে সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে তার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নেত্রীর নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে বিজয়ের মাস শুরু হয়ে গেছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো নিজ নিজ কর্মসূচি নেবেন। মাঠে থাকবেন। সতর্ক থাকবেন।

×