ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন আজ 

নিবার্চনী সংকটে যোগ্য নেতা নির্বাচনই চ্যালেঞ্জ 

মুনতাসির জিহাদ

প্রকাশিত: ১২:২৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

নিবার্চনী সংকটে যোগ্য নেতা নির্বাচনই চ্যালেঞ্জ 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আজ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। 

ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনের সম্মেলনের উদ্বোধন ও প্রধান অথিতির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এবার সম্মেলন শেষেই ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়েই এখন সারাদেশের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য।

সম্মেলন আয়োজনের শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি শেষ করতে মধ্যরাত পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন তা নিয়েই চলছে আলোচনা। তাদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, আগামী দিনে কোন দুই জনের কাঁধে যাচ্ছে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির তিন তারকা খচিত ছাত্রলীগের পতাকা বহনের দায়িত্ব। সবারই প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্র্থীদের কাছে জনপ্রিয়, সাংগঠনিক সক্ষমতা ও আওয়ামী পরিবারের সন্তানরাই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবেন।

এবারের সম্মেলনে নতুন নেতা (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের সম্মেলনকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিকে সংগঠনের শীর্ষ পদ পেতে প্রার্থীরাও মরিয়া। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। শেষ মুহূর্ত পর্র্যন্ত তারা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ধরনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সঠিক নেতৃত্ব বাছাইয়ে গত এক মাস ধরে গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়েও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, পারিবারিক পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, নেতৃত্বের গুণাবলিই এবারের নেতৃত্ব নির্বাচনের ভিত্তি হবে বলে জানা গেছে।

ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সারাদেশ থেকে অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় এসেছেন। প্রতিটি জেলা ইউনিট থেকেই কয়েক শ নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি উপস্থিত থেকে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে স্টেজ ও প্যান্ডেল বানানোর কাজ শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য উদ্যানের প্রবেশ পথগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীও থাকবে। 

সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা সম্মেলনের সর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে।

সম্মেলন উপলক্ষ্যে যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে 

 ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন উপলক্ষে সড়কে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকাসমূহে রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেয়া হবে। উদ্যানের আশপাশের এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে নগরবাসীকে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে।

ডিএমপির ট্রাফিক-রমনা বিভাগ থেকে জানানো হয়, ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষ্যে যানজট পরিহারের জন্য রাজধানীর কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাবি মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাবি ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং এলাকায় সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক ডাইভারশন চলবে।

ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। একই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। নানা অভিযোগে তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।

 

এসআর

×