ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন

ইভিএম যারা প্রোগামিং করে তারাও কারসাজি করতে পারে

প্রকাশিত: ১৮:২০, ৫ জুলাই ২০২২; আপডেট: ১৯:৫৪, ৫ জুলাই ২০২২

ইভিএম যারা প্রোগামিং করে তারাও কারসাজি করতে পারে

সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলম মজুমদার

যে কোনো যন্ত্র যা সফটওয়্যার দিয়ে পরিচালিত হয়, তাতে কারসাজি করা যেতে পারে বলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার যারা প্রোগামিং করে তারাও কারসাজি (ভোট ডাকাতি) করতে পারে

আবার যেহেতু নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওভার রাইটিংয়ের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারাও কারসাজি করতে পারে সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এই ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) একটা নিকৃষ্ট যন্ত্র, এটা প্রতিষ্ঠিত

মঙ্গলবার ( জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের বিশ্লেষণ উপস্থাপনের লক্ষ্যে সুজনের সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার কাছে বড় প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নির্বাচন কমিশন তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে আইন-কানুন বিধি-বিধান প্রয়োগের মাধ্যমে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দেখা গেছে, চুনোপুঁটিদের ক্ষেত্রে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আইন প্রয়োগ করেছে, রাঘব বোয়ালদের ক্ষেত্রে তারা আইন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে

তারা আত্মসমর্পণ করেছে নির্বাচন কমিশন যদি আত্মসমর্পণ করে, তাহলে নাগরিকরা যাবে কোথায় আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার কতগুলো বিষয়ে পরস্পরবিরোধী এবং অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়েছেন এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে আমাদের আশঙ্কা

সুজন সম্পাদক বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম কাঠগড়ায় ছিল ইভিএম বিষয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছিল ৬টি আসনে আর ২৯৪টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল পেপার ব্যালটে নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী ২৯৪ আসনে যেখানে পেপারব্যালটে ভোট হয়েছে, সেখানে ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ

অন্যদিকে যে ছয় আসনে ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখানে ভোট পড়েছিল ৫১ শতাংশ অর্থা ৩০ শতাংশ পার্থক্য, তার মানে যেখানে পেপার ব্যালটে ভোট হয়েছে সেখানে কারসাজি করা হয়েছে, না হয় যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে মানুষকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে

তিনি আরও বলেন, ইভিএম যদি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে, সেই ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিকতা কী? ২০১৭ সালে কুমিল্লায় পেপার ব্যালটে ভোট পড়েছিল ৬৪ শতাংশ এবারে সেখানে ভোট পড়েছে ৫৯ শতাংশ ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে, বায়োমেট্রিক ছাপ না মেলায় অনেকে বিরক্ত হয়ে চলে গেছে এখানে ইভিএম মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে

তিনি বলেন, পেপার না থাকার ইভিএমে নির্বাচন কমিশন যে তথ্য দেবে আমাদের তাই গ্রহণ করতে হবে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে, এর পেছনের লোকের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপরে

 

×