ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাজেট কাঠামোয় ভবিষ্যতের পূর্বাভাস

ড. মো. আইনুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১২ জুন ২০২৫

বাজেট কাঠামোয় ভবিষ্যতের পূর্বাভাস

অন্তর্বর্তী সরকারের বিপ্লবী কিংবা ধনিক শ্রেণিকে চটিয়ে বাজেট দিতে নানা সীমাবদ্ধতা আছে, সে কথা মেনে নিয়েই বাজেট কাঠামোর নির্মোহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশাল সুযোগ-সম্ভাবনা ও জনসমর্থন থাকার পরও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সংগত বাজেট কাঠামোর দিকনির্দেশনা দিতে প্রস্তাবিত বাজেট সফল হয়নি, যার প্রমাণ অর্থ উপদেষ্টা প্রণীত বাজেটের বিষয়াবলি ও বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়া। বিশ্লেষণের গভীরে প্রবেশের আগে বলে নেওয়া ভালো যে, অতীতের ধারাবাহিকতায় আর সবার মতো গতানুগতিক বাজেট দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েই অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য তাঁর সরকারের ন্যূনতম প্রশংসা প্রাপ্য এবং তাঁরা দায়িত্ব না নিলে এ দেশের অবস্থা হতো ভয়াবহ। মাননীয় উপদেষ্টা, এ কথা সত্যি যে জাতির এক ক্রান্তিকালে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছে এবং অভ্যুত্থানপরবর্তী ১০ মাসে ৬ শতাধিক আন্দোলন-সংগ্রাম-নৈরাজ্য, ঔপনিবেশিক চর্চায় বিশ^াসী আমলা, নৈতিকতাহীন রাজনীতিবিদ ও সর্বাবস্থায় উত্তরোত্তর মুনাফাকামী ব্যবসায়ী শ্রেণির অসহযোগিতার পাশাপাশি সামরিক-ছদ্মসামরিক-স্বৈরাচারীসহ নানা আবরণের দীর্ঘ অপশাসনের সুবিধাভোগী শ্রেণিগুলোর প্রতি পদে পদে চক্রান্ত ও উপদ্রব সরকারের পথচলাকে কঠিন করে তুলেছে। এরপরও দেশের অর্থনীতিকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্পষ্ট লক্ষণ দেখানোর জন্য অবশ্যই সরকারের প্রশংসা ও সাধুবাদ প্রাপ্য। কৃষক-শ্রমিক-প্রবাসী-সৎ রাজনীতিবিদসহ সমাজের সর্বস্তরের নির্মোহ মানুষ এ জন্য আপনাদের সমর্থন জানাচ্ছে। কায়মনোবাক্যে সফলতাও কামনা করছে। তবে জাতীয় বাজেট যদি হয় রাষ্ট্র-সরকারের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের খতিয়ান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও জনগণের মানসিক ভরসার দলিল; তাহলে সময়, পরিপ্রেক্ষিত ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিবেচনায় বড় পর্দায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট যথেষ্ট দূরদর্শী নয়।
প্রস্তাবিত বাজেটে আসন্ন অর্থবছর তো দূরের কথা সামনের কয়েক দশকেও বৈষম্য হ্রাসের কোনো ভিত্তি ও দিকনির্দেশনার লক্ষণ প্রায় নেই। যদিও বা কোনো বৈষম্য হ্রাসমূলক উপাদান এতে থেকে থাকে, নির্ধারিত সময়ে এই সরকার চলে গেলে বিদ্যমান সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামোয় তা বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব। অথচ এই সরকার ভূমিষ্ঠ হয়েছে বৈষম্যের গর্ভ থেকে, বৈষম্য নির্মূল না হলেও হ্রাসের মানসে। দ্বিতীয়ত, সরকারের নানা সীমাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা যৌক্তিক। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থনের সীমাহীন সুযোগ পেয়েও বাজেট কাঠামোর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ন্যূনতম চেষ্টা না-করা জুলাই অভ্যুত্থান তো বটেই, জাতীয় সংবিধানেরও মৌলিক চেতনার স্পষ্ট পরিপন্থি। অথচ সরকার এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ (অনুচ্ছেদ ৭.১)। উপরন্তু অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীদের প্রতিনিধিত্ব নিয়েই গড়ে উঠেছে এ সরকার। তৃতীয়ত, গতানুগতিক বাজেট প্রদানের কথা স্বীকার করে অর্থ উপদেষ্টা বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘সম্পদ সীমিত, কিন্তু চাহিদা বিশাল। অর্থনীতিতে একটি তত্ত্ব আছে- প্যারেটো অপ্টিমালিটি-একজনের কল্যাণ বাড়াতে অন্য কারও ত্যাগ প্রয়োজন হয়। আমরা সেই ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছি।’ মাননীয় উপদেষ্টা, স্বাধীনতাপরবর্তী যে কোনো সরকারের তুলনায় সর্বাপেক্ষা বেশি জনসমর্থন ও নৈতিক ক্ষমতা লাভ করেও যদি ভারসাম্য রক্ষার কথা বলে ধনী ও স্বজনতুষ্টির গতানুগতিক ধারায় রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের খতিয়ান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে পরবর্তী একবছরের রাষ্ট্রীয় দলিল হাজির করেন, তাহলে তো বলতেই হয় দেশের আপামর মানুষের ভাগ্য গতানুগতিক ধারায় বঞ্চনা ও বৈষম্যপূর্ণ থেকেই যাচ্ছে। ৫৪ বছর ধরেই তো কালোটাকার মালিক রেন্ট-সিকার-লুটেরা-পরজীবী গোষ্ঠী এবং তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কালোটাকার মালিক-সাম্রাজ্যবাদী ঋণ-সুদের কারবারীদের আর্থিকীকরণকৃত রেন্টসিকিং লুটেরাপুঁজির পৃষ্ঠপোষকতা করাই গতানুগতিক ধারার বাজেট। স্বল্পশিক্ষিত নাগরিকের এক দেশে দুই অর্থনীতির এই বাংলাদেশে ‘প্যারেটো অপ্টিমালিটি- একজনের কল্যাণ বাড়াতে অন্য কারও ত্যাগ প্রয়োজন’-এর উপমা দেওয়া যে ধনিক শ্রেণির কল্যাণ বাড়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ত্যাগ স্বীকার, তা জনগণ রাষ্ট্র ও সরকারের ৫৪ বছরের কার্যকলাপেই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। পুরানো ধ্যানধারণা ও প্রথা ভাঙার অক্ষমতাসৃষ্ট নৈতিক শক্তিহীনতা আড়াল করতে অর্থশাস্ত্রীয় ভারী ভারী শব্দের প্রয়োগ করাটা অন্তত অন্তর্বর্তী সরকারকে মানায় না, যেখানে গুণী অর্থনীতিবিদরা আর্থিক পরিকল্পনার সর্বোচ্চ পদে আছেন বলে সবাই জানে। 
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে যে অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ‘...আমরা কোনো বিপ্লবী বাজেট তৈরি করিনি, বরং একটি বাস্তবধর্মী পরিবর্তনের ভিত্তি স্থাপন করেছি।’ সংখ্যাস্বল্প ব্যক্তির ধনিক শ্রেণির চাপে অন্যায় জেনেও ১৯৭০-এর দশকে সামরিক সরকারের শুরু করা ‘কালোটাকা’ সাদা করার সুযোগ রাখা না-হয় গতানুগতিকতার খাতিরে মেনেই নেওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে ড্রাগসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের বাজার ড্রাগ মানি, ডার্টি মানি, মাফিয়া মানি, অস্ত্রের বাজার, অর্থপাচার, মানবপাচার, সকল ধরনের অবৈধ ব্যবসায়িক চুক্তি, ছোট-বড় ব্যবসার কমিশন দালালি, ঘুষ, মজুদদারি, কালোবাজারি, জুয়া-ক্যাসিনো, বিভিন্ন ধরনের মাস্তানি-চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, রাষ্ট্রের কর ও করবহির্ভূত আয়ের ক্ষেত্রসমূহকে ফাঁকি দেওয়াসহ সর্বৈব অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থকে একত্র করে সৃষ্টি হওয়া ‘কালোটাকা’ শব্দটিকে স্বীকার করে নেওয়ার সৎ সাহসটুকুও যদি অন্তর্বর্তী সরকারের না-থাকে, তাহলে মন্দ শোনালেও বলতেই হয় হাজারো শিশু-কিশোর-তরুণের অভূতপূর্ব ও নৃশংস মৃত্যুও ধনিক শ্রেণি তো বটেই, অন্তর্বর্তী সরকারেরও সহানুভূতি পেল না। অতীতের সরকারগুলোর নির্লজ্জ ধনী-স্বজনতুষ্টি মানসিকতার কারণে কোনো সরকারি দলিলে ‘কালোটাকা’ শব্দটির উল্লেখ করা হয় না। অথচ এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সৃষ্ট মোট ৮,৪১,৪১৯ কোটি টাকা কালো টাকার মধ্যে ৬৯.৭ শতাংশ ছিল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন খাতের অবৈধ কর্মকাণ্ড থেকে, আর বাদবাকি ৩০.৩ শতাংশ এসেছে সেসব খাত-ক্ষেত্র থেকে যেগুলো আইনিভাবেই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (যেমন- ঘুষ, চোরাচালান, অন্যান্য)। সবচেয়ে বেশি কালো টাকা সৃষ্টি হয়েছে ‘আয়কর, মুনাফার ওপর কর এবং মূলধন কর’ ফাঁকি থেকে (মোট কালোটাকার ৩৫.৯ শতাংশ), এরপরে ক্রমানুসারে আছে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট ফাঁকি থেকে ১৩.১ শতাংশ), ঘুষ (১২ শতাংশ), চোরাচালান (১০.৯ শতাংশ), সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি (৮.৭ শতাংশ), অন্যান্য অবৈধ খাত (৭.৫ শতাংশ), আমদানি শুল্ক ফাঁকি (৫.৮ শতাংশ)। প্রকারান্তরে কালো টাকার মালিক-সুবিধাভোগী সরকারি নীতিনির্ধারকরা ভদ্র শব্দে ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ বলেন, সেটা না-হয় মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু অর্থ উপদেষ্টা যখন বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কালোটাকার সংজ্ঞা দেন ‘নানা কারণে দেখানো সম্ভব হয় না বলে’, তখন মনে হয় বাংলাদেশে ‘তিন শূন্য’ অর্থ স্রেফ ‘অশ^ডিম্ব’!
অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে গতানুগতিক সেই কাঠামোটিই অটুট রাখল, যেখানে ধনিক শ্রেণিতুষ্টি আয়-ব্যয়ের খতিয়ান কেবলই দারিদ্র্য ও বঞ্চনা পুনরুৎপাদন করে। অর্থনীতির প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব ও জনমুখী বাজেট সংস্কৃতির আলোকে মোটাদাগে বর্তমান বাজেটের রাজস্ব সংগ্রহে অবাস্তব উচ্চতা স্পষ্ট। লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বারবার ভ্যাট ও শুল্কনির্ভরতা বাড়ানো হয়, যা ‘রিগ্রেসিভ ট্যাক্সেশন’ মডেল, যার বোঝা গরিব মানুষই বেশি বহন করে। অথচ সুযোগ থাকলেও আয়করভিত্তিক ও প্রগতিশীল কর ব্যবস্থার প্রসারে কোনো ডিজিটাল রূপান্তর, প্রশাসনিক সংস্কার বা স্বচ্ছতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হলো না। আয়করভিত্তিক রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ‘ট্যাক্স মরালিটি’ তথা কর দেওয়ার নাগরিক দায়িত্ববোধকে উৎসাহিত করাই এখন বিশ^স্বীকৃত। যেখানে ধনীরা প্রকৃত অর্থেই বেশি কর দেয় এবং সে করের ব্যবহার হয় সামাজিক নিরাপত্তা, উচ্চমানের শিক্ষা, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন খাতে। ফলে নাগরিকরা সেবার বিনিময়ে রাষ্ট্রের ওপর আস্থা রাখেন, জান-প্রাণ দিয়ে দেশের উন্নতি করেন; যার দিশা দিতে বাজেট তেমন সফল হয়নি। প্রতিবছর বাজেট বাস্তবায়নের সময় দেখা যায়, ৭৫-৮০ শতাংশ ব্যয় বছরের শেষ প্রান্তে সম্পন্ন হয়। এই ‘সর্বশেষে খরচ করার সংস্কৃতি’ প্রকল্প বাস্তবায়নে গুণগতমান হ্রাসের অন্যতম কারণ। উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রতা, বারবার সময়-ব্যয় বৃদ্ধি, মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে দক্ষতা ও অর্থনৈতিক সুশাসনের অভাব নিরসনে দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো, প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহি-সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখার জন্য কোনো নীতিগত কাঠামো ও আইনি অনুশাসন নেই এই বাজেট। ফলে কেবল অর্থ বরাদ্দ হলো, কিন্তু কার্যকর কর্মপরিকল্পনা না-থাকায় সংকট আরও ঘনীভূত হলো। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বৈষম্যকে গভীরতর করার রেসিপি প্রস্তাবিত বাজেট, যার প্রমাণ স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ হ্রাস। আর এটি এমন সময়ে করা হলো যখন দেশ ঐতিহাসিক ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মধ্যে উচ্চ বেকারত্বের (সরকারি পরিসংখ্যান ভিন্ন কথা বলে, অথচ অনানুষ্ঠানিক খাত ৮০ শতাংশ) মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিপজ্জনক আয়বৈষম্য এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা হুমকির মুখে, যা মেরুদণ্ডহীন নীতিনির্ধারণের স্পষ্ট লক্ষণ। 
বাজেট প্রণয়নে জড়িত ব্যক্তিবর্গ যদি সত্যিকার অর্থে দেশের মানুষের প্রকৃত মুক্তি ও উন্নতি চাইতেন, তাহলে আয়ভিত্তিক কর আদায় বৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল কর নেটওয়ার্ক, জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল লেনদেনের তথ্যভান্ডার ব্যবহার, করভিত্তির ন্যায়সংগত সম্প্রসারণ, করপোরেট করের ন্যায্য হার নির্ধারণ, কর ফাঁকির বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা, প্রকল্প পরিচালনায় জবাবদিহি-সময়ানুবর্তিতা-দক্ষতা নিশ্চিত, প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়ন ও স্বচ্ছতা, ফলপ্রসূ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মডেল অনুসরণ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা-সামাজিক সুরক্ষা খাতে অন্তত জিডিপির ৬-৮ শতাংশ হারে বরাদ্দ, মানবিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দীর্ঘমেয়াদি পথনির্দেশের ভিত্তি এবং শুধু ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণায় বিশ^বাসী আমলা নয়, বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পার্লামেন্ট, স্থানীয় সরকার ও সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি কর্মকৌশলের কংক্রিট ভিত্তি তুলে ধরতেন। বাজেট কোনো এককালীন আর্থিক নথি নয়, বরং একটি দেশের দৃষ্টিভঙ্গি, দায়িত্ববোধ ও নাগরিকদের প্রতি প্রতিশ্রুতির দলিল। সেই অর্থে এখন প্রয়োজন ছিল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য ও জনকল্যাণকেন্দ্রিক বাজেট কাঠামো গড়ে তোলা, যার কেন্দ্রে থাকবে মানুষের মর্যাদা, সামাজিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ন্যায্যতা। 
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্যানেল

×