
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল হোতা বদিউল আলম তুহিন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পর্নোগ্রাফির ভয় দেখিয়ে প্রায় বারো লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে কুমিল্লা সদর থানার হাউজিং এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার বদিউল আলম তুহিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে পারিবারিকভাবে পরিচিত তানিয়া খানম নামে এক নারী ব্যক্তিগত ভিডিও সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সুপার এডিট করে অশ্লীল ভিডিও তৈরির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চক্রটি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বোয়ালমারী থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯।
পুলিশ জানায়, পর্নোগ্রাফি ও প্রতারণায় জড়িত এই চক্রের সদস্যরা হলেন, গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে সেলিম খান ওরফে সুমন শিকদার (৩৩), তার স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩২), নয়নীপাড়া গ্রামের মুক্তার মোল্লার ছেলে মুজাহিদ (২৫), কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে তানিয়া খানম (৩২) এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিকিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্লার মেয়ে কাকলী বেগম (৩২)।
জানতে চাইলে বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম দেওয়ান বলেন, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় নজরদারি চালিয়ে অবশেষে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এর আগেই মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে কাকলী বেগম, তানিয়া খানম ও মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, “মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
মিরাজ খান