
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি রকেট হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তেলআবিব, জেরুজালেম থেকে শুরু করে তেহরান পর্যন্ত। ইসরায়েল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হামলা চালানোর পর ইরানও একের পর এক পাল্টা আঘাত হানছে।
১০ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা দেখে নিন:
রাতের আঁধারে সাইরেনের শব্দে তটস্থ তেলআবিব-জেরুজালেম:
শনিবার ভোরের আগে ইসরায়েলের প্রধান দুই শহর তেলআবিব ও জেরুজালেমে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। আতঙ্কে মানুষ বাংকারে আশ্রয় নেয়।
ইরান থেকে ছোড়া ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে হিমশিম ইসরায়েল:
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে ডজনখানেক মিসাইল ছোড়া হয়, যেগুলোর কিছু তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে ভূপাতিত করে। তবে হতাহতের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।
তেলআবিবে একাধিক বিস্ফোরণ, জেরুজালেমেও গর্জে ওঠে আকাশ:
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, একটি সন্দেহজনক ক্ষেপণাস্ত্র তেলআবিবে আঘাত হানে। জেরুজালেমেও একটি বিকট শব্দ শোনা যায়।
‘আরও কিছু আসছে’—ইরানকে হুঁশিয়ার করলেন নেতানিয়াহু:
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের পাল্টা জবাব এখানেই শেষ নয়। অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল, আর জবাব হবে যথাযথ ও কঠিন।’
তেহরানের আকাশেও বিস্ফোরণ:
ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
তৃতীয় দফা পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান:
ইরানি সংবাদমাধ্যম ফার নিউজ জানিয়েছে, শনিবার সকালে ইরান তৃতীয় দফায় রকেট হামলা চালায়। এর আগের রাতে দুই দফা হামলা হয়েছিল ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনায়।
‘ইসরায়েলে কোনো জায়গা নিরাপদ নয়’—ইরানি কর্মকর্তা:
এক শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের কোনো জায়গাই এখন নিরাপদ নয়, প্রতিশোধ হবে বেদনাদায়ক।’
তেলআবিবে ৩৪ জন আহত, একজন নিহত:
ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানায়, শুক্রবার রাতে তেলআবিব এলাকায় অন্তত ৩৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই আঘাত তেমন গুরুতর নয়। তবে পুলিশের তথ্যমতে, একজন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র নামল ময়দানে, ইরানকে ঠেকাতে মিসাইল ভূপাতিত:
মার্কিন সেনাবাহিনী ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ছোড়া কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র গুঁড়িয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা।
‘পারমাণবিক সমঝোতায় ফিরলে যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে’—ডোনাল্ড ট্রাম্প:
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এখনো সময় আছে—তেহরান যদি পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসে, তাহলে এই ‘নৃশংস যুদ্ধ’ থামানো সম্ভব।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রকেট যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। যদিও ইরানের প্রধান মিত্র হামাস ও হিজবুল্লাহ বর্তমানে ইসরায়েলি হামলায় কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব