ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে। একের পর এক পাল্টা হামলায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে ইরান-ইসরায়েল সীমান্ত অঞ্চল। এরই মধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কারদজ সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেছেন, "ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করে, তবে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে তেহরান।"
এর আগে, ইরানের টানা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ বেশ কয়েকটি শহর। বিশেষ করে তেলআবিবের বহু আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলেও গৃহহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানায়, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। তবে ইরান এখনো হামলা বন্ধ না করায় কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুতিতে রয়েছে ইসরায়েল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কারদজের ভাষ্য, “যদি পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকে, আমরা তেহরানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করব। খামেনীকেই এর দায় নিতে হবে।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ইরানি পরিবারের সদস্য বলেন, “এটা শুধু আমার অসুস্থ মা বা আমাদের পরিবারের ক্ষতি নয়, এটা পুরো জাতির ওপর আঘাত। আমরা প্রতিশোধ নেব, খালি হাতেও লড়ব যদি প্রয়োজন হয়।”
এমন সময় ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে—যে কোনো দেশ ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিলে, সেই দেশের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এই কড়া বার্তার পেছনে রয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পূর্ণ সমর্থন এবং জনতার রাস্তায় নেমে চোখের বদলে চোখ নেওয়ার দাবির প্রতিধ্বনি।
এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে ইরান ও আশপাশের দেশগুলোর আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল। ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ের ফুটেজে দেখা যায়, ওই অঞ্চলের আকাশ কার্যত ফাঁকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দ্বন্দ্ব যদি আর কয়েক ধাপ এগোয়, তবে তা গোটা অঞ্চলে যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে দিতে পারে।
ইমরান
