
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তাইওয়ান প্রণালী।রবিবার ভোর ৬টার সময় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সীমানা ঘিরে ছয়টি চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ (PLAN) তৎপরতা চালাচ্ছে। যদিও এই সময়ে কোনো চীনা যুদ্ধবিমান শনাক্ত হয়নি।
শনিবারও ঠিক একই সময়ে আটটি চীনা নৌবাহিনী জাহাজের উপস্থিতি শনাক্ত করেছিল তাইওয়ান। একাধিক দিনের এমন ধারাবাহিক নৌ-তৎপরতায় তাইওয়ান এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে।
তবে এখানেই থেমে নেই বিষয়টি। যুক্তরাষ্ট্রও এবার সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। সম্ভাব্য চীনা আগ্রাসন প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী শুরু করেছে উচ্চ পর্যায়ের যুদ্ধ মহড়া (war game)।
মার্কিন নৌবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান অ্যাডমিরাল জেমস কিলবি এক কংগ্রেসীয় শুনানিতে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তাইওয়ানকে এমনভাবে প্রস্তুত করা, যেন সেটিকে দখল করা চীনের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।”
কিলবি আরও জানান, যুদ্ধ মহড়াগুলোতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দূরপাল্লার আক্রমণ ক্ষমতা, চীনের নজরদারি ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া, জাহাজ প্রতিরক্ষা ও বিকল্প লজিস্টিক ব্যবস্থায়। এর পাশাপাশি নৌবাহিনী বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে, বিশেষ করে অটোনোমাস সিস্টেম ও ড্রোন।
তিনি বলেন, “যদি পারতাম, আমি ড্রোনগুলো সরাসরি তাইওয়ানে বসিয়ে দিতাম।”
এই বক্তব্যে স্পষ্ট যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনের আধিপত্য ঠেকাতে চালকবিহীন প্রযুক্তিকেই ভবিষ্যতের প্রধান প্রতিরক্ষা কৌশল হিসেবে বিবেচনা করছে।
তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশলগত দ্বন্দ্ব দ্রুতই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চীনের চাপের মুখে তাইওয়ান ও এর মিত্রদের প্রতিক্রিয়াই আগামী দিনগুলোতে অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
মিমিয়া