ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েল বনাম ইরান: কার হাতে সেরা অস্ত্র?

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৯:২১, ১৫ জুন ২০২৫

ইসরায়েল বনাম ইরান: কার হাতে সেরা অস্ত্র?

ছবি: সংগৃহীত

দশকের পর দশক ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর অবশেষে মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরশত্রু—ইরান ও ইসরায়েল। পরিসংখ্যানে ইরান সেনা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং জনসংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় অনেক পেছনে রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই লড়াই হবে মূলত আকাশযুদ্ধ—যেখানে ইসরায়েলের আধিপত্য স্পষ্ট।

ইরানের রয়েছে প্রায় ৯ লাখ ৬০ হাজার সেনা সদস্য ও রিজার্ভ ফোর্স, যেখানে ইসরায়েলের মোট সেনা সদস্য ৬ লাখ ৩৪ হাজার। জনসংখ্যায়ও ইরান অনেক বড়—৮৬ মিলিয়নের বিপরীতে ইসরায়েলের ১০ মিলিয়ন।

তবে এ লড়াইয়ের মূল ফোকাস সেনার সংখ্যা নয়, প্রযুক্তি। ইসরায়েলের কাছে রয়েছে F-15, F-16 এবং অত্যাধুনিক স্টেলথ যুদ্ধবিমান F-35, যা রাডার ফাঁকি দিয়ে শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করতে সক্ষম।

ইরান মূলত পুরনো রুশ যুদ্ধবিমানের উপর নির্ভরশীল। তবে এর ঘাটতি পুষিয়ে নিতে তারা গড়ে তুলেছে বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভাণ্ডার। ইরান বর্তমানে ২,০০০ থেকে ৩,০০০-এর মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করেছে। ‘Shahed 136’ ড্রোন, hypersonic Fattah মিসাইলসহ রয়েছে উন্নত মারক ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্রও।

ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান প্রতি মাসে ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে—যার রেঞ্জে রয়েছে ইসরায়েল ও আশপাশের শত শত মার্কিন ঘাঁটি।

তবে এই প্রযুক্তিগত দৌড়ে ইসরায়েলের প্রধান শক্তি হলো তাদের মাল্টি-লেয়ারড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শুধু ‘Iron Dome’ নয়, তার সঙ্গে রয়েছে David’s Sling, Arrow-3 এবং Patriot—সব মিলে তৈরি করেছে এমন একটি প্রতিরক্ষা ছাদ, যা প্রায় ৯০-৯৫% শত্রুর হামলা ঠেকাতে সক্ষম। যদিও বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেই ভেদ করা সম্ভব।

অন্যদিকে, ইরানের এস-৩০০, Corad-15, এবং Tactical Hunter জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ পুরনো এবং গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সবচেয়ে বড় তফাৎ হলো পারমাণবিক অস্ত্র। ইসরায়েল সরাসরি না বললেও তাদের হাতে রয়েছে Jericho-2 পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান এমন অস্ত্র অর্জনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেও এখনো তেমন কিছু অর্জন করতে পারেনি।

যদিও ইরান বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছে ও শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে, বাস্তবে আকাশযুদ্ধে টেলআবিবের স্পষ্ট প্রাধান্য এখনো বিদ্যমান বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকরা।

আঁখি

আরো পড়ুন  

×