ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

কোলন ক্যান্সারের ৫টি উপেক্ষিত লক্ষণ, জানলেই বাঁচতে পারেন বিপদ থেকে

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১৫ জুন ২০২৫

কোলন ক্যান্সারের ৫টি উপেক্ষিত লক্ষণ, জানলেই বাঁচতে পারেন বিপদ থেকে

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর শীর্ষ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কোলন ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এটি ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। সমস্যা হলো—রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে নিরবেই শরীরে বিস্তার লাভ করে, ফলে অনেকেই সময়মতো তা বুঝতে পারেন না। তবে কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো অবহেলা করলে ঝুঁকি বাড়ে বহুগুণ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোলন ক্যান্সারের ৫টি উপেক্ষিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ—

১. মলত্যাগের অভ্যাসে স্থায়ী পরিবর্তন

হঠাৎ করে দীর্ঘমেয়াদে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বা মলের আকার সরু হয়ে যাওয়া কোলন ক্যান্সারের শুরুতে দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

২. মলে রক্তের উপস্থিতি

মলে উজ্জ্বল লাল রক্ত দেখা যাওয়া অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের লক্ষণ হতে পারে, যা কোলনের টিউমারের কারণে হয়ে থাকে। এটি কোলন ক্যান্সারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

৩. অবিরাম পেটব্যথা বা অস্বস্তি

নিয়মিত পেটব্যথা, গ্যাস, ফোলাভাব বা ক্র্যাম্প দেখা দিলে তা কোলনের ভিতরে টিউমার বা বাধার সংকেত দিতে পারে।

৪. অকারণে ওজন হ্রাস

ডায়েট বা ব্যায়ামে পরিবর্তন না এনেও যদি শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়, তাহলে তা হতে পারে ক্যান্সারের একটি আভাস। কোলন ক্যান্সার শরীরের বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে, ফলে ওজন হ্রাস পায়।

৫. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা

ক্যান্সারের কারণে শরীরের অভ্যন্তরে রক্তপাত কিংবা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিরিক্ত সক্রিয়তা দেহকে দুর্বল করে তোলে। ফলে রোগীরা দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি ও শক্তি হ্রাস অনুভব করেন।

কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে করণীয়

এ রোগের ঝুঁকি হ্রাসে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অবলম্বন করা যেতে পারে—

  • সুষম খাদ্য গ্রহণ: ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, সবজি ও শস্যদানা বেশি করে খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত ও লাল মাংসের পরিমাণ কমানো প্রয়োজন।

  • নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার শরীরচর্চা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

  • ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার: এগুলো ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়, তাই এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ৪৫ বছর বয়সের পর প্রতি বছর কোলন ক্যান্সার স্ক্রিনিং করানো উচিত।

সচেতনতাই বাঁচার উপায়

কোলন ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থাতেই শনাক্ত করা যায়, তবে চিকিৎসার সাফল্যের হার অনেক বেশি। তাই উপরের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।

আলীম

×