
ছবি: সংগৃহীত
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা প্রশমনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার তিনি টেলিফোনে আলাপ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। আলোচনায় পুতিন দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে আহ্বান জানিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন।
ক্রেমলিনের বিবৃতি অনুসারে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন পুতিন। তিনি জানান, এই হামলা জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। সেইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলকে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পুতিন আরও বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও অন্যান্য ইস্যুতে চলমান বিরোধ কূটনৈতিক পথে সমাধান করা সম্ভব। রাশিয়া এই সংকট নিরসনে একটি নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী (আইএএফ) ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত আটটি শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে নিহত হন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হন প্রায় ৩০০ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন।
হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু স্থাপনা এবং সামরিক ঘাঁটি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির মতে, ইরানের প্রায় ১০০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরান শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে একজন নিহত এবং অন্তত ৪১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়েশিয়েল লেইটার সিএনএনকে বলেন, “আমাদের হিসেব অনুযায়ী আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই আমরা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলতে পারব। এটি শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের শান্তির স্বার্থে জরুরি।”
মুমু ২