
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ চালাতে যাচ্ছে তেহরান। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক ঘোষণায় জানায়, এই প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য হবে ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি, রাডার ব্যবস্থা ও ভূগর্ভস্থ সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করা।
সূত্র জানায়, এই অপারেশন তিনটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হতে পারে—
🔶 প্রথম ধাপে: বিমানঘাঁটি ও রাডার ব্যবস্থা ধ্বংস করা হবে।
🔶 দ্বিতীয় ধাপে: হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে।
🔶 তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে: ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি থেকে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালানো হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের সমন্বিত হামলা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে। বিশেষ করে ইরানের সামরিক সক্ষমতা বর্তমানে আগের তুলনায় ১০ গুণ বেশি, যা এই সম্ভাব্য যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
এদিকে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানী জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরের সুপারশপগুলোতে শুকনো খাবার ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে খাবার মজুদ করছে।
ইসরায়েলি সরকার নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দেশটির জরুরি সেবা বিভাগ জানায়, সারাদেশে রক্ত সংগ্রহ কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে, এবং হাসপাতালগুলো অপেক্ষাকৃত সুস্থ রোগীদের ছুটি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এছাড়া, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন শহরগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তেহরান জানিয়েছে, তারা একসাথে ৬০০টির বেশি হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা যদি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়, তবে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
ইমরান