ছবি: সংগৃহীত
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে প্রযুক্তি জগতে বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও, এখনো প্রোগ্রামিং শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ— এমনটাই বলছেন মাইক্রোসফটের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি ব্লুমবার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইক্রোসফটের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার (এক্সপেরিয়েন্সেস অ্যান্ড ডিভাইসেস) অপরণা চেন্নাপ্রাগাদা বলেছেন, “কম্পিউটার সায়েন্সকে অবমূল্যায়ন করা মানে হলো ১৪শ শতকে বই পড়াকে অপ্রয়োজনীয় ভাবা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “শুধু কোড লেখার জন্য নয়, বরং যৌক্তিক চিন্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা গড়ার জন্যও প্রোগ্রামিং শেখা জরুরি।”
তার মতে, যেহেতু এখন ডেভেলপারদের এআই দিয়ে তৈরি কোডের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে, তাই ভালো প্রোগ্রামার হওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। “এআই-generated কোড ব্যবহারে দক্ষ হতে চাইলে, প্রোগ্রামিং জানাটা আরও বেশি দরকার,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “মানুষ এখনো কোড যাচাই, পরীক্ষা ও নিরাপদ করার জন্য অপরিহার্য। সে জায়গায় এআই একা যথেষ্ট নয়।”
শুধু অপরণা চেন্নাপ্রাগাদা নন, আরও অনেক প্রযুক্তি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারাও একই কথা বলছেন। কগনিজান্ট ও অক্টা-এর মতো প্রতিষ্ঠানের মতে, এআই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের শেখার গতি বাড়ালেও অভিজ্ঞ প্রোগ্রামারদের চাহিদা এখনো অনেক বেশি।
মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলাও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “সমস্যা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা এবং সিস্টেমেটিকভাবে সমাধান তৈরির দক্ষতা আগেও যেমন দরকার ছিল, এখনো তেমনই দরকার, এমনকি এআই থাকার পরেও।”
তার ভাষায়, “আমরা সবাই আস্তে আস্তে সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হয়ে উঠব। সে জন্য প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণা ভালোভাবে বোঝা খুবই জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “কম্পিউটেশনাল চিন্তা করার ক্ষমতা, মানে সমস্যাকে এমনভাবে ভাঙতে পারা যাতে সেটাকে প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায় প্রকাশ করা যায়— এটাই হবে ভবিষ্যতের মূল দক্ষতা।”
সবমিলিয়ে প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ ব্যক্তিরা মনে করছেন, এআই যতই শক্তিশালী হোক, একজন দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজনীয়তা কমছে না— বরং নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে সেই প্রয়োজন আরও বাড়ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এম.কে.
