
পূর্বের সূর্যোদয় ও জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত নগরী কায়রো—আরব ও ইসলামের সাংস্কৃতিক রাজধানী। সেখানেই ঘটল এক তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত—যেখানে দুই দেশের শীর্ষ ইসলামি নেতৃত্ব মুখোমুখি হলেন শ্রদ্ধা, জ্ঞানের বিনিময় ও ঐক্যবোধের আলোচনায়।
মিশরের সম্মানিত গ্র্যান্ড মুফতি আল্লামা নাজির মুহাম্মদ আইয়্যাদ (হাফিজাহুল্লাহ)-এর বিশেষ আমন্ত্রণে সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন বাংলাদেশের বরেণ্য আলেম, উপমহাদেশের সুপরিচিত শাইখুল হাদিস, আল্লামা মুফতি আবুল কাসেম মোহাম্মদ ফজলুল হক (হাফিজাহুল্লাহ)।
সাক্ষাৎটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং ছিল এক অনুপম বৈঠক—যেখানে উঠে আসে দাওয়াহ, ফিকহ, উম্মাহর কল্যাণ এবং মুসলিম নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ চিন্তাধারার মৌলিক দিকগুলো। বাংলাদেশের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বর্তমান প্রেক্ষাপট, ইসলামি শিক্ষার বিস্তার, সমাজে আলেমদের ভূমিকা এবং তরুণ প্রজন্মকে দ্বীনের পথে পরিচালনার বাস্তব চিত্র আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।
উভয় আলেম পরস্পরকে শ্রদ্ধা জানান এবং একে অপরের অভিজ্ঞতা ও দাওয়াহ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অন্তরঙ্গভাবে অবগত হন। আলোচনার একপর্যায়ে মুসলিম উম্মাহকে ঘিরে সমসাময়িক ফিতনা ও বিভ্রান্তির মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের গুরুত্বও উঠে আসে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে।
সাক্ষাৎকালে শাইখুল হাদিস আল্লামা মুফতি আবুল কাসেম মোহাম্মদ ফজলুল হক (হাফিজাহুল্লাহ)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রখ্যাত আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী শামসুদ্দিন আজহারীসহ আরও কয়েকজন সম্মানিত ব্যক্তি।
এই শুভাকাঙ্ক্ষাপূর্ণ মিলন শুধু দু’দেশের ইসলামি ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করেনি, বরং মুসলিম উম্মাহর অভিন্ন স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নে নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সাক্ষাৎশেষে দুই আলেম দ্বীনের প্রচার, শান্তির বার্তা এবং নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে ইসলামি নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রত্যয়ে পরস্পর সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা এই বার্তা দেন—বিশ্ব মুসলিম সমাজের উন্নয়ন ও ঐক্যের পথ একমাত্র সম্ভব পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, জ্ঞানচর্চা এবং মিলনের মধ্য দিয়ে।
এটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসে এক মরমি, মেধাবী ও মহৎ অধ্যায় হয়ে থাকবে।
ফরিদ