
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, তা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না।
এই দুটি আঞ্চলিক শক্তিধর রাষ্ট্র বহু বছর ধরেই এক ধরনের ছায়া যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত – যেখানে তারা একে অপরের সম্পদের উপর গোপনে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে প্রকাশ্যে এর দায় স্বীকার করছে না।
তবে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই ধরনের হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর এক নেতাকে হত্যা করে এবং চলতি মাসের শুরুতে হামাসের এক শীর্ষ নেতাকে হত্যা করে –তারা দু’জনেই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এর জবাবে তেহরান ইসরায়েলের দিকে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যাদের অধিকাংশই প্রতিহত করা হয়।
ইসরায়েল পাল্টা বিমান হামলা চালায় – তবে গত কয়েক মাসে সামরিক তৎপরতা কিছুটা কমে এসেছিল।
ইসরায়েল বহুবার জানিয়েছে, ইরান তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি – অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইসরায়েলকে বর্ণনা করেছেন "ক্যানসারসৃষ্ট টিউমার" হিসেবে।
ইসরায়েলের আশঙ্কা, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে – এবং বর্তমানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান মূলত ইরানের সামরিক স্থাপনা ও পরমাণু অবকাঠামোর ওপরই লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে।
ইরান অবশ্য পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে – তবে অনেক পশ্চিমা দেশ এই দাবিকে বিশ্বাস করতে নারাজ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, ইরান তাদের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
ওয়াশিংটন ও তেহরান এই সপ্তাহের রবিবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল – কিন্তু ওমানের মাধ্যমে পরিচালিত সেই মধ্যস্থতামূলক আলোচনা এখন বাতিল হয়ে গেছে।
সূত্র: বিবিসি
আবির