ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের উপর হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত টানা হামলায় ইসরায়েলিদের একাধিকবার আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা, যারা ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিষিদ্ধ হওয়ায় জর্ডান থেকে প্রতিবেদন করছে।
এই দফায় ইসরায়েলের দাবি, কেবল ইরান থেকেই নয়, হামলা হয়েছে ইয়েমেন থেকেও—হুথিদের দিক থেকে। এটি হুথিদের দ্বিতীয় দফা আক্রমণ। এর আগেও গত মঙ্গলবার হুথিরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। তার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালায় ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে, যা হুথিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
হুথিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশেই তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই হামলা চালাচ্ছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তারা একাধিকবার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। তবে গত মার্চে যুদ্ধবিরতির সময় তারা হামলা বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল আবার গাজায় আগ্রাসন শুরু করলে হুথিরাও পুনরায় হামলা শুরু করে।
হুথিরা হলো ইরান-সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী, যারা ইয়েমেনের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা আগে থেকেই সৌদি আরব ও অন্যান্য অঞ্চলেও হামলা চালিয়ে আসছে।
ইসরায়েলের সামরিক সেন্সরের কারণে যদি কোনো সামরিক ঘাঁটি আক্রান্ত হয়, তবে সে খবর প্রকাশিত হয় না। ফলে কেবলমাত্র বেসামরিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলেই গণমাধ্যমে আসে। তবে সাম্প্রতিক হামলায় তেল আবিব এবং হাইফায় কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলেই জানা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইরান, হুথি ও লেবাননের হিজবুল্লাহ—এই তিন পক্ষের সক্রিয়তা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে উঠছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
মুমু ২
