ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

স্ত্রীর ডিভোর্স লেটার পেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা।।

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ১৫ জুন ২০২৫

স্ত্রীর ডিভোর্স লেটার পেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রী কর্তৃক পাঠানো ডিভোর্স লেটার পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আজিজুল হক রবিন (৩২) নামের এক যুবক। রোববার পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রবিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে আজিজুল হক রবিন পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার তালপট্টি গ্রামের নাছিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে জান্নাত আক্তার নামে ছয় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই ‘পরকীয়া’ সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। এই দ্বন্দ্বের জেরে ছয় মাস আগে নাছিমা আক্তার সন্তানকে স্বামীর ঘরে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে অনেকবার পারিবারিকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও তাকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন রবিন।

দুই মাস আগে নাছিমা আক্তার স্বামীর ঠিকানায় একটি ডিভোর্স লেটার পাঠান। তবে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি রবিনের কাছ থেকে গোপন রাখেন। ঈদের ছুটি শেষে চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতিকালে রবিন তার পরিচয়পত্র খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ করে ডিভোর্স লেটারটি দেখতে পান। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি এবং শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

রোববার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

নিহতের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভাই ও ভাবির মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এরই মধ্যে ভাবি বাবার বাড়িতে চলে যান এবং পরে ডিভোর্স লেটার পাঠান। আমরা বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম। তবে রবিন হঠাৎ চিঠিটি দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সর্বশেষ রোববার সকালে গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখা যায়।”

চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক উদ্দিন আকাশ বলেন, “আজিজুল হক রবিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”

সজিব

×