ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

মাঠে মেসি, তবুও দর্শকের অভাব!

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ১৫ জুন ২০২৫

মাঠে মেসি, তবুও দর্শকের অভাব!

ছবি: সংগৃহীত

মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০২৫ সালের ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি লিওনেল মেসি ও অন্যান্য বিশ্বসেরা তারকার উপস্থিতির পরও প্রত্যাশা অনুযায়ী উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি।

ইন্টার মায়ামি (মেজর লিগ সকার) ও মিশরের আল আহলির মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের অফিসিয়াল দর্শক উপস্থিতি ছিল ৬০,৯২৭ জন, যা টিকিট বিক্রির সংখ্যা, কিন্তু বাস্তবে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন সেক্টর অনেকটাই ফাঁকা ছিল এবং উপস্থিতি অনেক কম মনে হয়েছে।

সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, যদিও ইন্টার মায়ামি ছিল ঘরোয়া দল, মাঠে আল আহলির সমর্থকদের সংখ্যাই ছিল বেশি। স্টেডিয়ামটিতে আল আহলির লাল রঙের সমর্থকরা আধিপত্য বিস্তার করেছে, যেখানে ইন্টার মায়ামির গোলাপি রঙের সমর্থকরা অপেক্ষাকৃত কম ছিলেন। স্থানীয় সমর্থকদের স্বল্প উপস্থিতি ও দলের মালিক ডেভিড বেকহামের ঘিরে থাকা বিতর্ক এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই ভিন্নতা বেশ বিস্ময়কর, বিশেষ করে লিওনেল মেসি দলের হয়ে খেলার কারণে এবং মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা বিবেচনায়।

মাঠে দু’দলই গোলরক্ষকদের দাপটের কারণে ০-০ গোলে ম্যাচটি শেষ হয়। মেসি, সার্জিও বুস্কেটস, ও লুইস সুয়ারেজসহ তারকারা দারুণ প্রতিরক্ষা মোকাবেলায় গোল করতে পারেননি।

ইন্টার মায়ামির অস্কার উস্তারি একটি গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি রক্ষা করেন, আর আল আহলির মোহামেদ এল শেনাওয়ী শেষ মুহূর্তে মেসির এক দারুণ শট রুখে দলের পক্ষে বড় রক্ষা করেন।

ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামির প্রধান কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, “দ্বিতীয়ার্ধে দল ভালো খেলেছে, বিশেষ করে রক্ষণ ও আক্রমণে উন্নতি হয়েছে। প্রথমার্ধে কিছু ভুলের কারণে বিপক্ষকে বিপজ্জনক সুযোগ পেয়েছিল। প্রথমার্ধে নার্ভাস ছিলেন খেলোয়াড়রা, যার ফলে বল সঠিকভাবে পাশ কাটানো হয়নি।”

দর্শকসংখ্যা কম থাকায় ফিফা টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য দর্শকদের ক্যামেরার কাছে নিয়ে আসার পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য মাত্র ৪ ডলারে টিকিট বিক্রির মতো ছাড় প্রদান করেছিল। এর পরেও স্টেডিয়ামের উজ্জীবিত পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

এই উদ্বোধনী ম্যাচটি ফিফার জন্য মার্কিন বাজারে, বিশেষ করে মায়ামির মতো শহরে, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জগুলোর পরিচায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে স্থানীয় দর্শকদের আগ্রহ সীমিত থাকতে পারে।

বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা মাঠ মাতালেও ঘরোয়া সমর্থকের উপস্থিতি কম হওয়া ও আগত সমর্থকদের আধিপত্য এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য আয়োজকদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য দর্শক বৃদ্ধি ও উত্সাহ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া আবশ্যক বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

 

সূত্র: মিরর

আবির

×