
ছবি: শিরোপা হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদযাপন
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তোলার মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে ২০২৩-২৫ চক্রের। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেও নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এটিই ছিল প্রোটিয়াদের প্রথম ট্রফি। যার কল্যাণে টেম্বা বাভুমার দল বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে।
শনিবার ইংল্যান্ডের লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেটে পেরিয়ে দীর্ঘ ২৭ বছরের শিরোপা খরা ঘোচালো দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রোটিয়ারা অর্থ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের জন্য মে মাসেই বড় অঙ্কের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। মোট অর্থ পুরস্কার ধরা হয় ৫.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের দুই আসরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৯ দলের জন্যই প্রাইজমানি বরাদ্দ রাখা হয়।
গত দুই আসরের বিজয়ী দল (নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) ট্রফির পাশাপাশি পেয়েছিল ১.৬ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এবার তার প্রায় দ্বিগুণ বেশি অর্থ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার রানার্সআপ হয়ে পেয়েছে ২.১৬ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৬ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার বেশি। এই অঙ্কও আগের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। একইভাবে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই অর্থ পুরস্কার পেয়েছে।
এই আসরে তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করা ভারত পাচ্ছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার বেশি। চতুর্থ হওয়া নিউজিল্যান্ডের জন্য থাকছে ১২ লাখ ডলার। পঞ্চম স্থানে থাকা ইংল্যান্ড পাবে ৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ষষ্ঠ স্থানে থেকে শেষ করা শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
এদিকে, সপ্তম স্থানে থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্র শেষ করা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া অষ্টম ও নবম স্থানে থেকে আসর শেষ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান পাবে যথাক্রমে ৬ লাখ এবং ৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
ফয়সাল/সজিব