
শনিবার ঢাকায় ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও ফেডারেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ
হামজা চৌধুরী-সামিত সোমের মতো প্রবাসী তারকার সৌজন্যে ফুটবলে নতুন করে যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে, কিছু ত্রুটি সত্ত্বেও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বড় ম্যাচের সফল আয়োজন, স্পন্সরদের আগ্রহÑ এমনি সব ইতিবাচক বিষয় তুলে ধরতে শনিবার রাজধানীর একটি ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। পাশাপাশি সংস্থাটির বিভিন্ন কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরাই ছিল মূল লক্ষ্য।
কিন্তু সেখানে প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন খোদ বাফুফের নির্বাহী সদস্য শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন, বলেছেন,‘আমি এখানে অডিট ও গভর্মেন্ট রিলেশন নিয়ে মন্তব্য করব না। আমি জাতীয় দল কমিটির সদস্য। সে হিসেবে আমার একটাই এজেন্ডা। কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার পদত্যাগ চাই। দেশের ১৮ কোটি মানুষের চাওয়া এটি।’ সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হারের পর কোচ ক্যাবরেরার কৌশল নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। সমর্থক থেকে শুরু করে সাবেক ফুটবলাররা কাটাছেঁড়া করছেন তাঁকে। বাফুফের মধ্যেও এ নিয়ে রয়েছে অন্তর্কোন্দল। সেটিই আবার প্রকাশ্যে এলো।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এ নিয়ে কোনো কিছুই খোলাসা করেননি, বলেছেন, ‘যেটা হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক। এটা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব।’ গত ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। সমালোচকরা সবচেয়ে বড় দায়টা দিচ্ছেন ক্যাবরেরার ওপর। স্প্যানিশ এই কোচ এর আগে কখনোই কোনো জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেননি।
সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে ৩২টি ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন তিনি। তাঁর দল নির্বাচন বরাবরই প্রশ্নের খোরাক জোগায়। একই সঙ্গে ম্যাচের কৌশলও। সবশেষ শুধু সিঙ্গাপুর ম্যাচেই তো তাঁর কৌশল নিয়ে কত প্রশ্ন! মাত্র কদিন আগে এসে সিঙ্গাপুর ম্যাচের পরদিনই আবার ক্যাবরেরা ছুটি কাটাতে চলে যান স্পেনে। তার সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে কিছুই আলোচনা করতে পারেনি বাফুফের ম্যানেজমেন্ট। সেই ম্যাচ নিয়ে পরে জাতীয় কমিটি পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। কোচ নিয়ে তাবিথ আরও বলেন, ‘আমাদের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে।
যেখানে জাতীয় দল কমিটি (কোচের কাজ) পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে। সেখানে কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট সবাই জড়িত। মূল্যায়নের পর আপনাদের প্রশ্ন নেওয়া যাবে এবং উত্তরও দেওয়া যাবে। বর্তমানে আমরা প্রক্রিয়া মেনে এগোচ্ছি।’ চুক্তি অনুযায়ী ক্যাবরেরা বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে থাকবেন আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত।
বিভিন্ন কমিটির প্রধানেরা (কয়েকটি বাদে) নিজেদের দায়িত্বসংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তবে আয়োজনজুড়েই ছিল একধরনের পূর্বপরিচিত ছকের পুনরাবৃত্তি। সিঙ্গাপুর ম্যাচে টিকিট এবং দর্শক অব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সভাপতি।