
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। শনিবার (১৪ জুন) রাতভর ইরানের পাশাপাশি ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হুতিরা। হামলার ফলে বহু বাসিন্দা প্রাণভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যান। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হুতিদের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।
হুতিদের সামরিক টেলিভিশন আল-মাসিরাহ জানায়, ইরানি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে এই হামলা চালানো হয় এবং এতে ব্যবহৃত হয়েছে ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এটি হুতিদের দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এর আগে ১০ জুন ইসরাইলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে গোষ্ঠীটি, যার জবাবে ইসরাইল ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে বিমান হামলা চালায়।
হুতির শীর্ষ নেতা আবদুল মালিক আল-হুতি এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসন প্রতিহত করা শুধু একটি দেশের দায়িত্ব নয়, বরং তা পুরো অঞ্চলের সুরক্ষার স্বার্থে জরুরি।”
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার ইরানজুড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইল। এতে তেহরানের শাহরান এলাকায় একটি তেল স্থাপনায় আগুন লাগে। এই হামলার জবাবে রাতেই ইরান শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কিছু অংশ এড়িয়েই এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, সর্বশেষ ইরানি হামলায় অন্তত সাতজন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে শতাধিক। বাত ইয়াম এলাকায় আহত হয়েছে ৭৪ জন, রেহোবতে আরও ২৮ জন আহত হয়। তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়ে রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে থাকা গবেষণাগারে আগুন লেগে বহু মানুষ আটকা পড়ে। হামলার দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে এবং তা ইসরাইলি গণমাধ্যমে প্রকাশও হয়েছে।
গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে হুতিরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছিল। তবে গত মার্চে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর কিছুদিন তা বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করলে হুতিরা আবার হামলা শুরু করে।
নোভা