
আজমেরী হক বাঁধন
আজমেরী হক বাঁধন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ২০০৬ সালে লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন তিনি। নাটক, মডেলিং ও চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দক্ষতা দর্শককে মুগ্ধ করেছে। ক্যারিয়ারে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা অর্জন করেছেন। আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত নারী-প্রধান গল্পের সিনেমা ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’। ঈদের দিন থেকে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সে। প্রতিদিন দর্শক প্রতিক্রিয়া জানতে বিভিন্ন হলে ছুটছেন বাঁধন।
মাল্টিপ্লেক্স দর্শকের পজিটিভ রেসপন্স দেখে সিঙ্গেল স্ক্রিনের হল মালিকদের প্রতি বাঁধনের অনুরোধ, ঝুঁকি নিয়ে হলেও সিনেমাটি যেন চালায় তারা। অভিনেত্রীর বিশ্বাস, সিঙ্গেল স্ক্রিনেও দর্শক পছন্দ করবে সিনেমাটি। বাঁধন বলেন, ‘এশা মার্ডার’ সিঙ্গেল স্ক্রিনেও চলার মতো সিনেমা। সিঙ্গেল স্ক্রিনের মালিকদের বলতে চাই, আপনারা একবার ঝুঁকি নিয়ে ছবিটি চালিয়ে দেখুন। আমার বিশ্বাস, এই সিনেমা মানুষ পছন্দ করবে। উদাহরণ টেনে এই অভিনেত্রী বলেন, আমার এবং মায়ের বাসার দুই সাহায্যকারী সিনেমাটি দেখে কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বেরিয়েছে।
আমাকে ভালোবাসে বলে নয়, তারা সিনেমার গল্প ও চরিত্রের সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছে নিজেদের। তাই আপনাদের (হল মালিক) অনুরোধ করব, ঝুঁকিটা নিয়ে দেখুন। সব সময় একই ধরনের সিনেমা চালাবেন, এটা তো হয় না। আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। আমাদের পাশে থাকেন, ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেন।
‘এশা মার্ডার’ সিনেমায় প্রতিদিনে দর্শক আগ্রহ বাড়ছে জানিয়ে বাঁধন বলেন, প্রথমদিন দর্শকের সংখ্যা দেখে খুব আপসেট হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর থেকে প্রতিদিন দর্শকের সংখ্যা বাড়ছে। আমি খুশি। কারণ, আমাদের সোসাইটি হয়ত এখনো প্রস্তুত নয় যে, নায়ক ছাড়া সিনেমা দেখবে। কিন্তু দর্শক প্রমাণ করেছে, তারা এমন সিনেমা দেখার জন্য প্রস্তুত। নির্মাতা ও প্রযোজকদের এ ধরনের ঝুঁকি নিতে হবে। মিডিয়া শুধু টাকা বানানোর কিংবা বিনোদন দেওয়ার জায়গা নয়। এখানে সমাজের জন্য কিছু করার সুযোগ আছে। আপনারা এগিয়ে এলে সমাজ পরিবর্তনে মিডিয়া একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
‘এশা মার্ডার’ সিনেমার একমাত্র অভিভাবক হিসেবে বাঁধনই আছেন প্রকাশ্যে। কারণ এটি নির্মাণ ও প্রযোজনা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা সানী সানোয়ার। তিনি জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চলে গেছেন আড়ালে।