ছবি: সংগৃহীত।
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার আরও সংঘাতময় পথ বেছে নিচ্ছে ইরান। কূটনৈতিক ও সামরিক পরিসরে প্রতিশোধের পালা অব্যাহত রাখতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর প্রভাবশালী প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে চায় তেহরান। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা আরও ব্যাপক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
সংবাদমাধ্যম ‘তেহরান টাইমস’-এর খবরে জানা যায়, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হেনেছে। এতে গোয়েন্দা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রভাণ্ডারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
তবে ইসরায়েল পাল্টা দাবি করেছে, তাদের ডিফেন্স সিস্টেমের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও স্থানীয়দের মোবাইল ফুটেজে তেলআবিব, হাইফা বন্দরসহ কিছু জায়গায় বিস্ফোরণ ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী এবং ইরানঘনিষ্ঠ আরও কিছু মিলিশিয়া সংগঠনকে এ সংঘাতে যুক্ত করতে চায় ইরান। এ কৌশল বাস্তবায়ন হলে এটি আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে তাদের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। কারণ, ইসরায়েল যেসব যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র ব্যবহার করছে, তার বড় অংশই এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শয়তানের দোসরদের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বাহিনী এমন ধাক্কা দেবে, যা তারা কখনও কল্পনাও করতে পারবে না।”
ইরানের প্রতিরোধ পরিকল্পনার মাধ্যমে সংঘাত যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক চিত্র পাল্টে দিতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।
নুসরাত
