আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৪ জুন) ইরান থেকে ছোড়া হয় একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার লক্ষ্য ছিল তেল আবিবের কির্ইয়া এলাকা, ইসরায়েলের সামরিক সদর দপ্তর ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যেখানে অবস্থিত।
এই হামলা ছিল ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলার সরাসরি প্রতিশোধ। গেল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফায় হামলার পরই এই পাল্টা পদক্ষেপ নেয় তেহরান।
সূত্র জানায়, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অনেক অংশ প্রতিহত করলেও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোম ভেদ করতে সক্ষম হয়। ফলে কির্ইয়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় তেল আবিব। শহরের মাঝেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিরক্ষা জাল ছিন্ন করে চোখের পলকে সামরিক সদর দপ্তরের পাশেই আঘাত হানে। সাথে সাথেই এলাকাজুড়ে ভয়াবহ শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও গভীর করবে। ইরান স্পষ্টভাবে বার্তা দিয়েছে, তারা প্রতিটি হামলার জবাব দেবে এবং যেকোনো সহযোগী দেশও হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
এই মুহূর্তে পুরো ইসরায়েলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়ছে উদ্বেগ, এই সংঘাত যে কোনো সময় পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ রূপ নিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, “এই হামলা শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিকভাবেও ইসরায়েলকে বড় বার্তা দিয়েছে ইরান।
মিমিয়া
