ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানে ইসরায়েলের হামলা: পরমাণু আতঙ্ক নাকি কৌশলগত সুযোগ?

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১৫ জুন ২০২৫

ইরানে ইসরায়েলের হামলা: পরমাণু আতঙ্ক নাকি কৌশলগত সুযোগ?

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ইরানে ব্যাপক আকারে সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লক্ষ্য ছিল দেশটির পরমাণু অস্ত্র তৈরির সম্ভাব্য সক্ষমতা এবং সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা। বিশ্লেষকরা বলছেন, আঞ্চলিক প্রভাব হারানো, মিত্র গোষ্ঠীগুলোর দুর্বলতা এবং ইরানের দ্রুত বাড়তে থাকা পরমাণু ক্ষমতার কারণে এই হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল আবিব।

ইসরায়েল বরাবরই দাবি করে এসেছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “ইরানের পরমাণু অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমরা সেই হুমকি দূর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

সূত্রমতে, ইরান ইতোমধ্যেই অন্তত নয়টি পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে দাবি করছে ইসরায়েল। এই প্রেক্ষাপটেই ইরানে বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালিয়েছে দেশটি।

গত বছরও দুই দফায় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল, যেখানে হামাসের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিহত হন। তবে এবারের হামলা ছিল আরও ব্যাপক ও সংঘবদ্ধ। একাধিক স্থাপনায় নিশানা করে চালানো হয় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

বিশ্লেষকদের মতে, হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো গোষ্ঠীগুলো বর্তমানে সামরিকভাবে বেশ কোণঠাসা। সিরিয়ায় ইরানের প্রভাবও আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য মৃত্যু আঞ্চলিক মিত্রদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।

এছাড়া সিরিয়া ও অন্য মিত্র শক্তিগুলোর দুর্বলতাও ইরানের প্রতিরক্ষা অবস্থানকে বেশ নড়বড়ে করে তুলেছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কৌশলগত অবস্থান এখন হুমকির মুখে পড়েছে।

এই কূটনৈতিক ও সামরিক প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে, তেহরানকে প্রতিহত করতেই ইসরায়েল এই আক্রমণ চালিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। লক্ষ্য একটাই—ইরানের ভবিষ্যৎ পরমাণু ক্ষমতাকে একেবারে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া।

নোভা

×