মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মোড় নিচ্ছে। মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরায়েলের ১০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের খাতাম আল আম্বিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির এক কমান্ডার জানান, ইরানের বিভিন্ন এলাকায় একযোগে চালানো প্রতিরোধে ইসরাইলি সামরিক জেটগুলো ধ্বংস হয়েছে।
শুধু আকাশেই নয়, ভূমিতেও ইরানের জবাব ছিল বিস্ফোরক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রনডোম’-কে ব্যর্থ করে তেলআবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা সদরদপ্তরে সরাসরি হামলা চালানো হয়। এতে গুঁড়িয়ে যায় ইসরাইলি সামরিক স্থাপনাগুলোর একটি অংশ।
‘আয়রনডোম’ হলো ইসরায়েলের সবচেয়ে আধুনিক বহুতল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার কাজ শত্রুপক্ষের ছোড়া রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া।
এটি শুধু বড় ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ক্ষুদ্র রকেটও নির্ভুলভাবে শনাক্ত করে ধ্বংস করতে সক্ষম।
ইসরায়েলিদের কাছে এটি জাতীয় নিরাপত্তার প্রতীক ও গর্বের বিষয়।
দ্য টাইমস যাচাই করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তেলআবিবের কেন্দ্রস্থলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে, যেখানে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরসহ একাধিক সামরিক স্থাপনা অবস্থিত।
ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আলোচনার ঝড় তুলেছে।
এই হামলা আসে এমন এক সময়, যখন ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ইরানের ওপর দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তেহরান স্পষ্ট করে বলেছে, এই আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়া হবেই, এবং সেই জবাবের সূচনা এবার যেন স্পষ্ট।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হওয়ার ইঙ্গিত।
যদি ইরান সত্যিই এক ঘণ্টায় ১০টি যুদ্ধবিমান নামিয়ে থাকে এবং আয়রনডোমকে অকার্যকর করে থাকে, তবে এটি হবে ইসরায়েলের জন্য বড় সামরিক ধাক্কা।
আঁখি
