ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

ভালুকায় রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ১৫ জুন ২০২৫

ভালুকায় রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

ভালুকায় সরকারি রাস্তার পাশ থেকে দিনে-দুপুরে ২০ বছর বয়সি শতাধিক বিশাল আকারের আকাশমনি ও মেহগনি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাঠালী-মল্লিকবাড়ি এলজিইডি সড়কে মল্লিকবাড়ি ৯ নম্বর বাঁধের দুই পাশ থেকে গাছগুলো কাটা হয়। এ ঘটনায় মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার কাঠালী-মল্লিকবাড়ি এলজিইডি সড়কে মল্লিকবাড়ি ৯ নম্বর বাঁধের দুই পাশে প্রায় ২০ বছর আগে সাত শতাধিক আকাশমনি গাছের চারা রোপণ করা হয়। গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় স্বপন মিয়ার স্ত্রী মোর্শিদাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি ওই স্থানে একটি কারখানার কাজ চলমান রয়েছে, যেখানে ইটের উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাচীরের পাশ থেকেই দিনে ও রাতে গাছগুলো কেটে নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি আকাশমনি ও মেহগনি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে এবং ১২টি গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রবিবার বিকাল ৪টা ১৫ মিনিট) গাছ কাটা অব্যাহত রয়েছে।

স্বপন মিয়ার স্ত্রী মোর্শিদা জানান, ২০১১ সালে তাকে লিখিতভাবে গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গাছগুলো এরও ৭/৮ বছর আগে রোপণ করা হয়েছিল। এখন রাতের আঁধারে কোম্পানির লোকজন গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান।

গাছের ক্রেতা সিরাজ উদ্দিন বেপারী জানান, তিনি ২৫/২৬টি গাছ এক লাখ টাকা দিয়ে কিনেছেন এবং সাদিকুল নামে এক ব্যক্তিকে অগ্রিম টাকা দিয়েছেন। বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়ে এলেও স্থানীয়দের বাঁধার মুখে বাকি গাছগুলো নিতে পারেননি।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ মালিকানা দাবি না করায় জব্দ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে রাস্তার পাশ থেকে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরির লোকজন গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে। আপাতত কিছু গাছের টুকরা স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অফিস খোলার পর বিষয়টি নিয়ে অধিকতর খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সজিব

×