ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লঞ্চঘাটে প্রবেশ মূল্য

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২৩ মে ২০২৫

লঞ্চঘাটে প্রবেশ মূল্য

বাংলাদেশে রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল কিংবা বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রবেশমূল্য নেওয়া হয় না। কিন্তু লঞ্চঘাটে পা রাখতেই গুনতে হচ্ছে ১০-২০ টাকা। সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশালের নৌঘাটে এই প্রবণতা ভয়াবহভাবে বিস্তৃত। ঠিকাদার ও প্রভাবশালী মহল এভাবে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা আদায় করছে। যাত্রীরা ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ, মালামাল ছিনতাই কিংবা হয়রানির ঘটনা ঘটলেও সেসব অভিযোগের কোনো প্রতিকার মেলে না। একদিকে যাত্রীদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়ছে, যা তাদের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করছে। অন্যদিকে এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের নৌপরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে, যা বিদেশি পর্যটকদের আগমনকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস মিললেও সেসব উদ্যোগ বাস্তবে ফাঁকা বুলি। যার ফলে ঘাটগুলো হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির নিরাপদ আশ্রয়স্থল। একদিকে নদীপথের যাত্রীদের ঘাটে প্রবেশ করতে মূল্য দিতে হয়। অথচ অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থায় তা নেই। এটি নিছক বৈষম্য নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নজরদারির অভাবে গড়ে ওঠা একটি নৈরাজ্য।

ফিয়াদ নওশাদ ইয়ামিন
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম ডিপার্টমেন্ট

প্যানেল

×