
নদীমাতৃক বাংলাদেশে বন্যা অতিপরিচিত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বৈশাখ মাস থেকেই শুরু হয় কালবৈশাখী এবং এরপর অতিবৃষ্টিতে ভারি বন্যা। প্রতি বছরই বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য মানুষের ফসল, ঘরবাড়ি ও অতীব প্রয়োজনীয় মালামাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কোনো কোনো সময় প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটে থাকে। ইতোমধ্যেই কিছু কিছু জেলায় বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে সতর্ক করেছেন আবহাওয়া অফিস। প্রাকৃতিক বন্যাকে আমরা আটকাতে না পারলেও বন্যার ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারি যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতির মাধ্যমে। তাই আমাদের সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাই বন্যা মোকাবিলা করার জন্য এখন থেকেই দেশের জনসাধারণ ও সরকারকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে ও পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে বন্যাকবলিত নিচু এলাকায় জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেন ও বন্যা প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এছাড়া বন্যার সময় কিভাবে জানমালের ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা যায় এবং প্রয়োজনে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া যায় এমন বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। গবাদিপশুর নিরাপত্তায় করণীয় বিষয়গুলো এবং শুকনো খাবার সংরক্ষণের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষ যেন আতংকিত না হয়ে সচেতন থাকে সেই বিষয়ে সবাইকে বোঝাতে হবে। বন্যা হলে উদ্ধারকর্মী ও পর্যাপ্ত খাদ্যবস্তু যেন দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায় সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে এখন থেকেই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে যথাযথ আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
মো. আজিজুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্যানেল