ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১১ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার দিনরাত

-

শীতের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। শীতে সিওপিডি (ফুসফুসের রোগ) রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। শীতে তাই তাদের সতর্ক থাকতে হয়, জীবনধারা বদলে নিতে হয়। ঢাকায় শীতের বাতাস অনেকটাই দূষিত হয়ে পড়ে। ডাক্তাররা খোলা বাতাসে কম বেরুনোর কথা বলেন। কয়েক বছর আগে ঢাকা শিশু হাসপাতাল ঢাকার ১১টি এলাকায় পাঁচ শতাধিক মানুষের ওপর একটি গবেষণা চালিয়ে ফুসফুসের অসুস্থতা ব্যাপক হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। ফুসফুসের সক্রিয়তা বা পিএফটি (পালমোনারি ফাংশন টেস্ট) পরীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকার ২৩.৪৭ শতাংশ মানুষ ফুসফুসের কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। এত দিনে এই হার নিশ্চয়ই আরও বেড়েছে। তাই সতর্কতা জরুরি।

সরেজমিন ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল

ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শুধু চোখের জন্য বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল। হাসপাতালের তথ্য দেয়ার আগে সরেজমিন অভিজ্ঞতা বলি। রবিবার আমার বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে সার্জারি করালে ভাল হবে, আমার পরিবারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি একমত হলেন। তিনি সেখানকারই চিকিৎসক। যাহোক, সকাল নয়টায় যেতে বলেছিলেন। প্রবেশ করে দেখি ইতিমধ্যে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। বিভিন্ন দিকে নারী-পুরুষের চলাচল। এত ভিড় দেখে ব্যস্ত রেল স্টেশনের কথাই মনে পড়ে। মাত্র পঞ্চাশ টাকার টিকেট কেটে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ আছে এখানে। নতুন রোগীর একটা আইডি কার্ডও দেয়া হয়। এক পাতার ফরম পূরণ করে জমা দেয়া লাগে। মাইক্রোফোনে রোগীর নাম ও বয়স বলে নির্দিষ্ট কক্ষে ডাকা হয় চোখ পরীক্ষার জন্য। সেখানে ডাক্তার প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করে বলে দেবেন মূল সমস্যাটা কী এবং কী চিকিৎসা নিতে হবে। চোখের প্রেশার, নেত্রনালি, রেটিনা ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা কক্ষে পাঠাবেন ডাক্তার। যদি অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে এবং আপনি অপারেশন করাতে সম্মত থাকেন, তবে সাড়ে তিন হাজার টাকা জমা করা লাগবে ইসিজি, রক্ত পরীক্ষা ও চোখের অন্যান্য ডিজিটাল পরীক্ষার জন্য। সব রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে তবেই আপনি অপারেশনের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। দেখলাম বেশির ভাগই চোখে ছানি পড়া রোগের শিকার। চল্লিশ বছরেও একজন ব্যক্তির চোখে ছানি পড়তে পারে, তাই বয়সের সঙ্গে ছানি পড়ার বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই বলেই প্রতীয়মান হলো। এই অপারেশনে ডাক্তার ছানি ফেলে দিয়ে একটি নতুন লেন্স লাগিয়ে দেবেন। এক চোখের জন্য এই লেন্সের দাম কমপক্ষে ১৫ হাজার, উর্ধে এক লাখ টাকারও ওপরে। এই অপারেশনের জন্য হাসপাতালে থাকতে হয় না। কুড়ি-পঁচিশ মিনিটের অপারেশন, এক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারবেন। যাহোক, একতলা দোতলা মিলিয়ে আমাকে ১১টি কক্ষে প্রবেশ করতে হলো। সকাল নয়টায় ঢুকেছিলাম, আর সবশেষে অপারেশনের অগ্রীম টাকা জমা করে যখন হাসপাতাল থেকে বের হলাম তখন বেলা একটা বেজে গেছে। বোঝাই যাচ্ছে কী পরিমাণ ভিড় হয় এই হাসপাতালে। ঢাকার বাইরে থেকেও রোগীরা আসেন।  
হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি। প্রধান কার্যালয় ঢাকার ফার্মগেটে অবস্থিত। ২৯ জুলাই ১৯৬০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে নিখুঁত ও নিরাপদে চোখের ছানি অপারেশন হচ্ছে। ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চোখের যে কয়টি শাখায় চিকিৎসা হয় সেগুলো হচ্ছে গ্লুকোমা, রেটিনা, কর্নিয়া, ক্যাটার‌্যাক্ট, লোভিশন, ইনজুরি, শিশু চক্ষু রোগ ইত্যাদি। চোখের প্রায় সব চিকিৎসাই হয় এখানে। ২২০ শয্যার এই হাসপাতালে মোট কেবিন ৯টি এবং ওয়ার্ডের সংখ্যা ১০টি। চোখের কর্নিয়া, রেটিনা অপারেশনে হাসপাতালটি বিশেষ খ্যাতি আছে।
শেষে একটা কথা না বললেই নয়। দুস্থ, বিত্তহীন, স্বল্প আয়ের বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটা সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ কি খুব বেশি কষ্টকর হবে? তাদের জন্য বিনামূল্যে অপারেশন এবং চোখে নতুন লেন্স স্থাপন, এই কাজ সরকারের অনুদানে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন বছর থেকেই শুরু করা যেতে পারে। এজন্যে সুনির্দিষ্টভাবে বাজেট রাখতে হবে। চোখ মানুষের অত্যন্ত মূল্যবান অঙ্গ। দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ অত্যন্ত অসহায়। দৃষ্টিশক্তির ঝুঁকিতে যেসব বয়স্ক মানুষ থাকেন, তাদের পাশে শুধু সরকারকে নয়, বিত্তবান মানুষেরও দাঁড়ানো চাই সামাজিক অঙ্গীকারবোধ থেকে।

চেনা-অচেনা পুরনো বাসা

মহানগরীতে একদা লেখাপড়া করতে এসে যারা আর দেশের বাড়ি ফেরেননি, থেকে গেছেন রাজধানীতেই এমন বহু ব্যক্তিই আজ জীবনসায়াহ্নে। পঞ্চাশোর্ধ এক বন্ধু এসেছিলেন বুয়েটে পড়তে। তারপর থেকে ঢাকায় কত যে বাসা বদল করেছেন। এমনকি একটি ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন উত্তরায়। পরে সেটি বিক্রি করে দেন। পরে ফ্ল্যাট কিনেছেন ঢাকার অভিজাত পাড়ায়। বিশেষ প্রয়োজনে তিনি গত তিন দশকের ভাড়া বাসাগুলোর ছবি তুলতে গিয়েছিলেন। মনে মনে আমিও চলে গিয়েছিলাম আমার অতীতে। পুরনো ও নতুন ঢাকা মিলিয়ে আমিও তো পনেরোবার অন্তত বাসা বদল করেছি। স্ত্রী বললেন, যতো টাকা বাসা ভাড়া দিতে ব্যয় হয়েছে সেই টাকা দিয়ে কমপক্ষে দুটি ফ্ল্যাট কেনা যায়। হ্যাঁ যেত বটে। কিন্তু মাস এনে মাস খাই চাকরিজীবীদের পক্ষে কি সম্ভব একসঙ্গে অন্তত একটা ফ্ল্যাট কেনার টাকা যোগাড় করা? সম্ভব নয়। ঋণের ভাবনাও কর্মজীবনের শুরুতে আসে না। ঋণ করতে সাহস লাগে। ফিবছর তার কিস্তি শোধ করা এক মহাবিড়ম্বনা। ফলে আমার বয়সী এবং আমার মতো সীমিত রোজগারের মানুষের পক্ষে এক জীবনে নিজের একটি বাসা কেনা অসম্ভব হয়ে ওঠে। গোটা জীবন ভাড়া বাসাতেই কাটিয়ে যেতে হয়। এটাই বাস্তবতা। সে যাক, বলছিলাম এক জীবনে বহুবার বাসা বদল করার কথা। বাড়িঅলাদের কঠোরতা ও বিধিনিষেধ আরোপের প্রসঙ্গে নাই বা গেলাম। বছর বছর যাদের আয় বাড়ে না তাদের জন্য ফিবছর বাড়তি বাসা ভাড়া যোগাড় করা সত্যিই অনেক কষ্টের। ফলে অবধারিতভাবে বাসা বদল করতে হয়। চেনা বাসা একদিন অচেনা হয়ে ওঠে। এলাকার চেহারাবদল এককালের অধিবাসীকে বিভ্রান্ত করে।

প্রসঙ্গ খাদ্যনিরাপত্তা
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমীক্ষা

দেশে সব ধরনের মোটা চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। মধ্যবিত্তের পছন্দের মাঝারি চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ থেকে ৩ টাকা (প্রায় ৮ শতাংশ) বেড়েছে। মোটা ও সরু চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা (প্রায় ৭ শতাংশ)। একটি সমীক্ষায় দেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কাজনক চিত্র উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের ২ কোটি ৩৬ লাখ বা ২৬ শতাংশ মানুষ উচ্চমাত্রার খাদ্যসংকটে ভুগছেন। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মানুষ বিপদে থাকতে পারেন। তাদের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া তিন লাখ রোহিঙ্গাও রয়েছেন। এ অবস্থায় তীব্র খাদ্যসংকটে থাকা ১৬ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা দরকার। পুরান ঢাকা, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ বেশিরভাগ এলাকায় কম দামে খাদ্যপণ্য কিনতে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
জাতিসংঘসহ বাংলাদেশে কাজ করা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর যৌথভাবে পরিচালিত ‘সমন্বিত খাদ্যনিরাপত্তার পর্যায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৭ নভেম্বর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ২০ বছর ধরে এই জরিপ করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশে দুই বছর ধরে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। খাদ্যনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে খাদ্যপণ্যের দাম ও কৃষি উপকরণের বিষয়টিকে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এখন পর্যন্ত চালকলমালিক, ব্যবসায়ী, খাদ্যপণ্যের আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কোনো সভা হয়নি। প্রতিবেদনে দেশের খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের ভৌগোলিক অবস্থানও চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মানুষের বেশিরভাগ বাস করেন চট্টগ্রাম, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগে। দেশের ৪০টি এলাকায় খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, ৩৩টি এলাকার মানুষ সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন। জরিপে দেখা গেছে, ১৬ লাখ ৪৭ হাজার মানুষের জরুরি খাদ্যসহায়তা দরকার। খাদ্য নিয়ে সংকটময় অবস্থায় আছেন ২ কোটি ১৯ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। আর ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার মানুষ চাপে আছেন। শুধু ৩ কোটি ৩৯ লাখ মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন।

ব্যাটারিচালিত রিক্সা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

প্রধান সড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার চলাচল বন্ধে বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে ৭৮টি অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা রিকশাগুলো উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা বিক্রি করে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। প্রথমে রাজধানীর মিরপুরে শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের সামনের প্রধান সড়কে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চালানো এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অভিযানে ৭৮টি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা এবং ওই রিকশাগুলোর মোট ৩১৫টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা রিকশা ও ব্যাটারি ১০ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। অভিযানের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরের প্রধান সড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল অনেক বেড়ে গেছে। এই অবৈধ অটোরিকশা চলাচলের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনাও অনেক বেড়েছে। যানজট নিরসন ও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত গত বছর ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘোষণা আসার পরে সেসব যানের চালকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিছুটা সহিংসও হয়ে ওঠে আন্দোলন। রাস্তা বন্ধ করে দাবি জানানোর কারণে একদিকে যানজট এবং অন্যদিকে যান-স্থবিরতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। সচেতন ঢাকাবাসীর মনে থাকার কথা চার বছর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রও অনুরূপ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশা ঢাকার সড়কে চলতে দেবেন না বলে স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছিলেন।
কালে কালে আমরা দেখছি যে, রিক্সার শহর ঢাকায় এখন অনেক রিকশা হাফ-মোটরবাইক হয়ে উঠেছে। আলাদাভাবে ব্যাটারিচালিত রিক্সাও চালু হয়েছে। এগুলোয় চড়লে ঝাঁকি বেশি লাগে। চালক গতি নিয়ন্ত্রণে না রাখলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থেকে যায়। রিক্সা-ভ্যানসহ যেসব অযান্ত্রিক যানবাহনে মোটর-ব্যাটারি-ইঞ্জিন সংযোজন করে যান্ত্রিক বানানো হয়েছে, সেগুলো ডিএসসিসি এলাকায় পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি চার বছর আগেই দেয়া হয়েছিল। এখন কথা হচ্ছে, চার বছর আগে থেকেই ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের কার্যকর জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হলে এতদিনে তা সফল হতে পারতো। ঢাকার একাংশও ভরে যেত না নতুন চেহারার অগণিত ব্যাটারিচালিত রিক্সায়। ওপেন সিক্রেট হলোÑ রাজধানীতে টোকেনের বিনিময়ে চলে ব্যাটারিচালিত রিকশা। এসব অবৈধ যান বন্ধ না হওয়ার পেছনে সক্রিয় রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রভাবশালী দলের স্থানীয় নেতা, পুলিশ ও চাঁদাবাজরা যুক্ত। ব্যাটারিচালিত রিক্সার চালকরা বলছেন, তারা নিয়মিত  মাসোহারা দিয়ে টোকেন নিয়ে এসব যানবাহন চালাচ্ছেন। ঢাকার সড়কের নিরাপত্তা বাড়াতে, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার স্বার্থে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করা জরুরি। ব্যাটারিবিহীন প্রচলিত রিক্সা চালানোর সুযোগ তো চালকদের রয়েছেই। তাই অবৈধ যানের জন্য যানের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণই সমীচীন। যেসব গ্যারাজে এসব অবৈধ যান রাখা হয় সেগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করা চাই।  
 
১০ নভেম্বর ২০২৪  
[email protected]

×