ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব নন্দিত জননেত্রী

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশিত: ২০:২৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশ্ব নন্দিত জননেত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বাঙালীর বঙ্গবন্ধু-বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় তনয়া ‘হাচু’ বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরেণ্য-নন্দিত সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্ব পরিম-লে অনবদ্য উঁচু মাত্রিকতায় বিপুলভাবে সমাদৃত। আধুনিক উন্নয়নের রূপকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বে উন্নয়ন রোল মডেলের পথিকৃৎ রূপে আবির্ভূত। প্রবোধিত আত্মপ্রত্যয় ও আত্মমর্যাদায় জাতির জনকের নিরন্তর লালিত স্বপ্নকে পরিপূর্ণতাদানে অবিচল আস্থার ঠিকানায় ইতোমধ্যেই তিনি নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। বলিষ্ঠচিত্তে নির্ভীক স্বাধীনসত্তায় আত্মপ্রত্যয়ী-দূরদর্শী-দৃঢ়চেতা নেত্রী তথাকথিত উন্নত রাষ্ট্রের শাসক-শোষকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু ও অপপ্রচারণা এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল অশুভ চক্রান্ত-প্ররোচনাকে উপেক্ষা করে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে প্রতিস্থাপন করতে যথার্থ অর্থে সফল ও সার্থক। বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন পুরস্কার অর্জনে শেখ হাসিনা শুধু নিজেই পুষ্পিত হননি; পুরো বাঙালী জাতিরাষ্ট্রকে পৃথিবী নামক এই ধরিত্রীর বুকে এক ঈর্ষণীয় পর্যায়ে মর্যদাসীন করেছেন।
দেশের অপামর জনগণ সম্যক অবগত আছেন বাংলার ঋতুরাণী শরত মাসে কাশফুলের শুভ্র-সৌম্য অপরূপ প্রকৃতি শোভিত ¯িœগ্ধ এক শুভলগ্নে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনার জন্ম। প্রকৃত অর্থে নানাবিধ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে শোভিত বাংলা বর্ষের শরৎবন্দনা বাঙালী সংস্কৃতিকে যুগে যুগে অপূর্ব দ্যোতনায় করেছে মহিমান্বিত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ শরতের নির্মল আকাশে সাদা মেঘের ছোটাছুটি দেখে রূপকল্পে লিখেছিলেন- ‘অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া/আমি দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া’। কবিগুরু আরও বলেছেন, ‘আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরির খেলা/নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা’। দ্রোহ, প্রেম ও প্রকৃতির কবি নজরুল বলেছেন- ‘এল শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা/রসলোক বাসিনী লয়ে ভাদরের নদীসম রূপের ঢেউ/মৃদু মধুহাসিনী যেন কৃশাঙ্গী তপতী তপস্যা শেষে/সুন্দর বর পেয়ে হাসে প্রেমাবেশে।’ ৪০ দশকের কল্লোলগোষ্ঠীখ্যাত আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশ ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থে ‘এখানে আকাশ নীল’ কবিতায় শরতের আকাশ, দুপুরভরা রৌদ্র, ফুল ও ফলের গুঞ্জরণসহ পাখিদের ভাবভাষাও বর্ণনা করেছেন। বাংলার কবিমানস শামসুর রাহমান লিখেছেন- ‘জেনেছি কাকে চাই কে এলে চোখ ফোটে/নিমেষে শরতের খুশির জ্যোতিকণা’।
সর্বজনবিদিত যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সভ্যতার ইতিহাসে নিকৃষ্ট-কলঙ্কজনক হত্যাযজ্ঞে দানবরূপী হিং¯্র ঘাতকেরা মুক্তির মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতাসহ পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে বর্বর-নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিদেশে অবস্থান করার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই প্রিয় কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগের প্রায় কর্মীরা তখন হয়েছিল দিগ্ভ্রান্ত। মতবিরোধ-বিশৃঙ্খলায় বিভাজিত ছিল দল। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫ এর পর প্রথম অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে দলে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনাকে তাঁর অনুপস্থিতিতে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

মূলত বিরাজিত সকল অসঙ্গতি-বিভ্রান্তি-অন্ধকারের শক্তির সকল কদর্য পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পুনরুদ্ধার সংকল্পে অবিনাশী দেশপ্রেমে ঋদ্ধ হয়ে তিনি দেশে ফেরার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন। দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর শেষে দেশ ও দলের কঠিন দুঃসময়ে সামরিক শাসকদের অশুভ নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন দেশোদ্ধারে অবিচল প্রত্যয়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
দেশে ফিরেই দলের সভাপতির অর্পিত দায়িত্বভার গ্রহণ করে গড়ে তোলেন সামরিক সরকারবিরোধী গণআন্দোলন। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতায় আরোহণকে অবৈধ ঘোষণা করে এরশাদবিরোধী দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার আদায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহুবার সামরিক-স্বৈরশাসকদের রোষানলে পড়েছেন।

১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দলীয় ৩১ নেতা-কর্মীসহ গ্রেফতার হন। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মিছিলে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ ও বিডিআর নির্বিচারে গুলি চালায়। মহান স্রষ্টার অপার কৃপায় তিনি জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হলেও নিহত হয় ১১ জন সাধারণ নেতা-কর্মী-সমর্থক। ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া জীবন্ত কিংবদন্তী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  দেশ অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ৫১ বছরের অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রায় সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন পরিক্রমা তথা আশু-স্বল্প-দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কার্যকরণ রোডম্যাপে অগ্রসরমান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, লিঙ্গ সমতা, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শ্রমঘন রফতানিমুখী শিল্পায়ন, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান ও রাজস্ব উন্নয়ন, পোশাক ও ওষুধ শিল্পকে রফতানিমুখীকরণ ইত্যাদি দেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটে যুগান্তকারী অভিধায় সমুজ্জ্বল।

অন্যদিকে ভৌত অবকাঠামো, যাতায়াত ব্যবস্থা ইত্যাদিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুত, গ্যাস, জ্বালানি ইত্যাদির সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, গভীরসমুদ্র বন্দর, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, পরিকল্পিত নগরায়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয়-ব্যবহারযোগ্য পানি ও সুয়ারেজ প্রকল্পের মতো বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের অব্যাহত বাস্তবায়নসহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের সফলতা-সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব পরিম-লে উন্নয়ন-অগ্রগতির রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃত। ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার মামলা জয় এবং ২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত স্থায়ী আদালতে ভারতের কাছ থেকে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ পরিমাণ অঞ্চল অর্জনে শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য।
জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশ গরিব মেহনতি জনতার সুগভীর দারিদ্র্যকে উৎপাটন করে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তারই আলোকে তাঁর সুযোগ্য কন্যা ইতোমধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় দেশের সকলকে সঙ্গে নিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য প্রতিনিয়ত রোডম্যাপ বা রূপকল্প প্রণয়ন/কার্যকর করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

দুঃখজনক হলেও সত্য, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনকের আদর্শিক অবিচল চেতনায় পরিপূর্ণ ঋদ্ধ হয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে প্রতিষ্ঠিত করা দেশের অনেকের জন্যই গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগ-নাগিনীর বিষাক্ত বিচরণ-ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত দেশকে অস্থিতিশীল করে অগ্রগতির ধারাকে অবরুদ্ধ করার লক্ষ্যে নানামুখী কদর্য অন্তরায়  তৈরি করে চলছে। কদাচার-অনাচার-আরাজকতার মাধ্যমে দেশকে অনগ্রসরতার নষ্টচক্রে নিপতিত করার যারপরনাই অপচেষ্টা থেমে নেই। এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনধিকৃত ও নিন্দিত রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির নির্মাতাদের পাঁচমিশালী নেতৃত্ব দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবন্থান জোরদার করছে।

এদের কুঅঙ্গীকার বাস্তবায়নের আড়ালে রয়েছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি–অন্ধকার ও সাম্প্রদায়িকতার ধর্মান্ধ কুৎসিতগোষ্ঠী-জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত হত্যাকারী-আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক ও প্রতারক বাহিনী-অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল-দুর্নীতির অভয়ারণ্যে দেশকে পরিণত করে নতুন জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ বিপথগামীদের নিয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতাকে অবরুদ্ধ করার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গভীর চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র।
সাম্প্রতিক দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে প্রাগ্রসরতা বিবেকপ্রসূত ব্যক্তির কাছে গুরুত্ব পেয়েছে। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার সফল বাস্তবায়নের কর্মযজ্ঞ যে অব্যাহত এবং অদম্য পন্থায় এগোচ্ছে তার ধারাবাহিকতা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রায় পাঁচ কোটি ছিয়াত্তর লাখ তথা দেশের ৩২ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অমিত সম্ভাবনাকে ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার জন্য আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম, তথ্যপ্রযুক্তি, কারিগরি দক্ষতায় উৎকর্ষ অর্জন এবং যথোপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার অভাবনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সর্বত্র সমাদৃত।
এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মানুষের নিগূঢ় সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি-ভালবাসার বন্ধনকে অটুট রাখা এবং স্রষ্টার একই শিক্ষায় সকলকে দীক্ষিত করা। কবির ভাষায় (সাবির আহমেদ চৌধুরী : স্রষ্টার ভাবনা) এর মূলে ছিল ‘জীবন তোমার দাও বিলিয়ে ফুলের মতো উজাড় করে, দুঃখীর দুঃখ দূর করিতে সদাই যেন অশ্রু ঝরে।’ অথবা ‘আমরা দেশের শ্রমিক চাষী ফসল ফলাই গোলা ভরি, সব মানুষের আহার জোগাই নিজেই কেবল ক্ষুধায় মরি।’ এই বাস্তব সত্যটুকু নিরলস অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধুর মতোই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের বজ্রকঠিন ব্রত নিয়ে অপরিসীম মমত্ববোধে ভরা বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জোরালো অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু কন্যার চিন্তা এবং কর্মে জাতি অবিরাম অবলোকন করে চলছে। বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার মধ্যে লুকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা-দেশবাসীর ধ্যান-ধারণা ও প্রত্যাশা-প্রাপ্তির যথার্থ প্রতিশ্রুতি। আজকের এই দিনে মহান  স্রষ্টার কাছে এই মহীয়সী নেত্রীর ঝুঁকিমুক্ত-নির্ভয়-নির্ভার নিরাপদ সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর বিনীত প্রার্থনা জানাচ্ছি। জন্মদিন শুভ হোক। অজস্র মহিমায় হোক কল্যাণময়।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

×