ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
রক্তস্নাত শোকাবহ আগস্ট মাস। শুরুতেই বিমর্ষ আর বিঘ্ন শ্রদ্ধায় সেই অজেয়, দুর্বিনীত, দুঃসাহসিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করা যেন এক অসহনীয় বেদনাঘন অনুভব। সেই ঘোর অমানিশার অন্ধকারে যে নির্মম হত্যাযজ্ঞে সারা বাংলাদেশ কেঁপে উঠেছিল- তেমন ভূকম্পন তো আজও শিহরিত করে। বঙ্গবন্ধু একা নন, তাঁর সঙ্গে থাকা নিকটজন পরিবারবর্গও সেদিন হিংস্রতার উন্মত্ত দাবানলে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। সারাবাংলা স্তব্ধতায় মুহ্যমান ও বাকহীন হয়ে দিশেহারা অবস্থায় পৌঁছায়। ইতিহাসের এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ যা সভ্যতার সূর্যকেও অন্ধকারে কালো করে দেয়।
আগস্ট মাসে বাংলাদেশের আপামর জনগোষ্ঠীর জীবনে যে দুর্যোগের ঘনঘটায় অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি পড়ে, সেখান থেকে সহজেই মুক্তির পথ অবারিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করাই শুধু নয়, জাতীয় সংবিধানকে তার মর্যাদা থেকে সরিয়ে দেয়া দেশের জন্য ছিল অবধারিত অশনিসঙ্কেত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালী জাতির অবিস্মরণীয় মহানায়কই শুধু নন, যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাঙালীর ইতিহাস-ঐতিহ্যের আকর্ষণীয় নেতৃত্বও বটে। বাংলার উর্বর কোমল পলিমাটির অভিনব যোগসাজশে এক বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব যে মাত্রায় নিজেকে উদ্ভাসিত করলেন, তা যেমন অকল্পনীয়, একইভাবে অসাধারণ দেশনায়কের মর্যাদায়ও অভিষিক্ত। দেশকে ভালবেসেছেন অকাতরে, নির্দ্বিধায় এবং অনমনীয় চেতনায়। ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই আলোকিত মানুষটি।
সে সময় শেখ পরিবারের ঐতিহ্যিক বংশানুক্রমিক ধারা কালের গতিতে অনেকটাই শ্লথ ও জৌলুস হারানোর ভগ্ন দশায়। পারিবারিক প্রাচুর্যের সর্বশেষ চিহ্ন ধরা ছিল পিতৃ-পুরুষের বংশপরম্পরায় আত্মিক সম্পর্কের নির্মল বাঁধনে। বঙ্গবন্ধু নিজেকে সবসময়ই মধ্যবিত্তের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতেন। কোন এক সময় বিত্তবৈভবের প্রাচুর্যে শেখ বংশের ধারা বহমান থাকলেও সময়ের স্রোতে এবং হরেক রকম টানাপোড়েনে তা নিঘ্নগামী হয়েছে কিছুটা। শেখ বংশের একজন আধ্যাত্মিক পুরুষের অভ্যুদয়ও বঙ্গবন্ধুর লেখনিতে পাওয়া যায়। তিনি এই বংশের প্রথম প্রজন্ম শেখ বোরহান উদ্দিন।
যিনি শেখ বংশের প্রতিষ্ঠাতাও বটে। শুধু তাই নয়, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর পূর্ব পুরুষের ভিটা, মোগল আমলের স্থাপত্য নিদর্শনের ছাপও লক্ষণীয়। পূর্ব পুরুষকে স্মরণে আনতে গিয়ে সে সময়ের আর্থসামাজিক অবয়বেরও একটি সুস্পষ্ট ধারণা উঠে আসে। শুধু অসাধারণ বাগ্মিতার শক্তিই নয়, বরং নান্দনিক সত্তায় লেখনী প্রতিভাও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে উজ্জ্বল হয়ে আছে। ঘটনার সাবলীল বর্ণনার সঙ্গে মিলে মিশে একাত্ম হয় জাতির জনকের অভাবনীয় প্রতীভাদীপ্ত মনন। তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থাকে আলোকপাত করতে গিয়ে সঙ্গত কারণে ১৭৫৭ সালে ইউ ক্লাইভের হাতে বাংলার পতনের দুঃসহ ঐতিহাসিক ঘটনাও বর্ণিত হয়। তখন থেকে সম্পদশালী বাংলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শ্যেন দৃষ্টিতে পতিত হলে আবহমান বাংলা তার ঐতিহ্য এবং ঐশ্বর্য হারাতে বসে।
পরিস্থিতির অনিবার্যতায় শেখ বংশও তাঁর পারিবারিক বৈভব থেকে ক্রমশ মলিন হতে থাকে। তখন সমস্যাটা ছিল গোটা অবিভক্ত বাংলাজুড়েই। ১৭৬১ সালে দেওয়ানি লাভ সারাবাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ইতিহাসের নির্মম ঘটনাপঞ্জী। ইংরেজ শাসন-শোষণের তেমন দুর্বিপাকে বাংলা ১২৭৬ এবং ইংরেজী ১৭৬৯ সালে সারাবাংলায় যে মহামন্বন্তর তা ইতিহাসের এক তমসাচ্ছন্ন অধ্যায়। বাংলায় এমন দুর্ভিক্ষে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার দুঃসহ ইতিবৃত্ত আজও কাঁপিয়ে দেয়ার মতো। আর সে সময় ইংরেজ কর্তৃক নীলচাষের নতুন ব্যবস্থা জনগোষ্ঠীর জীবনে যে দুর্ভোগ ডেকে আনে তাও বঙ্গবন্ধু সাবলীলভাবে উল্লেখ করতে ভোলেননি। দেশের প্রতি সচেতন দায়বদ্ধতায় বাংলার সামগ্রিক ইতিহাসের প্রতি বঙ্গবন্ধুর নজর ছিল অত্যন্ত প্রখর। নীল চাষীদের ওপর অকথ্য নির্যাতনের কথা লিপিবদ্ধ আছে বঙ্গবন্ধুর লেখনীতে।
তবে তিনি এ কথাও পাঠকদের জানাতে বিস্মৃত হননি যে, ইংরেজদের সীমাহীন দাপটের মধ্যেও শেখ বংশ অধিষ্ঠিত ছিল স্বমর্যাদায়। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি শুধু তাঁর জীবনের বিচিত্র-সংগ্রামী ঘটনার স্বচ্ছ প্রতিবেদনই নয়, আরও বেশি করে স্পষ্ট হয় তৎকালীন সমাজের ইংরেজ শাসনের লোমহর্ষক ঘটনাপ্রবাহও। বিচক্ষণ সমাজ বিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদদের মতো ঘটনা পরম্পরা যেভাবে বিধৃত করেছেন তা এক সূক্ষ্ম গবেষকের দিব্য দৃষ্টি। বিশ্লেষণ করার মনন শৌর্যই নয়, প্রকৃত ঘটনাকে যেভাবে পাঠক অবলোকন করে তা সত্যিই এক অনন্য ঐতিহাসিক দর্পণ। অভিজাত বংশের সন্তান বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোর অতিক্রান্ত হয় ইংরেজ শাসনের এক বিক্ষুব্ধ আবহে। বাঙালী জাতির প্রতি ইংরেজদের বৈমাত্রেয় আচরণ– সেটাও প্রত্যক্ষ করেছেন জাতির জনক।
ইতিহাসবিদরাও বলে থাকেন- ইংরেজরা ক্ষমতা দখল করেছে মুসলমানদের হাত থেকে। ফলে, শুরু থেকেই মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়। তবে সমাজবিজ্ঞানীরা বলেন- সাম্প্রদায়িক অনুভব তৈরি করাও এর পেছনে নির্ণায়কেরও ভূমিকা পালন করেছে। তার ওপর ছিল অভ্যন্তরীণ কলহ বিবাদ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। অন্তর্নিহিত বিরোধ, আভিজাত্যের লড়াই, ক্ষমতার দম্ভ সে সময়কার বহুল আলোচিত ঘটনা-দুর্ঘটনা। তবে পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোর অতিক্রান্ত হয় অতি সাধারণ জীবনাচরণে।
অর্থবিত্তের প্রভাব যেমন ছিল না- অভাব অভিযোগও কখনও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেনি। কিন্তু অন্য এক দুঃসহ চাপ জনগোষ্ঠীকে বেসামাল করে তুলত। ইংরেজ শাসনের বৈষম্যমূলক আচরণে হিন্দু-মুসলমানের ক্রমাগত বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতা। ফলে এক অসঙ্গত, অপ্রয়োজনীয় বিভেদ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অদৃশ্য কাঁটার মতো বিঁধে থাকত, যা উত্তরকালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত গ্রথিত করে। মুসলমানরা শুধু শিক্ষার আলো থেকেই বঞ্চিত ছিল না, বরং কর্মক্ষেত্রেও তাদের কাজ পাওয়া অসহনীয় এক দুরূহ ব্যাপার। এমন সব সামাজিক বিভেদ খুব অল্প বয়স থেকেই দেখতে হয় বঙ্গবন্ধুকে।
ফলে, ব্রিটিশদের প্রতি তীব্র বিরূপ ধারণা জন্মায়। তারপরেও হিন্দুদের সঙ্গে সহজ মিলনে কোনদিন কোন বাধাই অনুভব করেননি শেখ মুজিবুর রহমান। হিন্দু বন্ধুর সংখ্যাও কম ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু। তবে ব্রিটিশ শাসনামলেই ভেদ বুদ্ধির বিসদৃশ চিত্র দেখে বড় হওয়া বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি সচেতন হতেও খুব বেশি দেরি হয়নি। সে সময় মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত হয়ে মুসলিম ছাত্রলীগের সম্পাদকের আসন পেতে সক্ষম হন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে শিক্ষা জীবনের সাময়িক বিরতি পার করাও বঙ্গবন্ধুর জীবনের আবশ্যকীয় পর্যায়। অতি অল্প বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধু এক রোখা, জেদি এবং অসম সাহসী এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সাধারণের মধ্যে অসাধারণ সত্তায় জ্বলে উঠতেন অবলীলায়।
কোন ধরনের আপোসকামিতার ধারই ধারতেন না বলে নিজের বক্তব্যে বারবার শাণিতও হন। দেশ ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম দায়বদ্ধতায় ন্যায়নিষ্ঠতা ও আদর্শিক বোধে নিয়তই উদ্বেলিত হতেন। উত্তরকালে তারই অবিস্মরণীয় স্ফুরণ বঙ্গবন্ধুকে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যিক মর্যাদায় আবহমান বাংলার শ্রেষ্ঠত্বের আসনও অবারিত করে।
সেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ যাত্রাপথে বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় সৈনিকের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়া বাঙালী জাতির জন্য এক অনন্য সাধারণ মঙ্গলযোগ। সময়ের গতিপ্রবাহে যা নিয়তই উদ্ভাসিত হতে থাকে। আর ১৯৭১-এর মার্চ মাস বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গেল ইতিহাসের একেবারে উচ্চাসনের এক গৌরবময় অধ্যায়ে। ৭ মার্চের অবিস্মরণীয়, কালজয়ী ভাষণ আজ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল। কথামালার যে অবিমিশ্র জোয়ার যা শুধু তাৎক্ষণিক উপলব্ধিতেই তৈরি হয়েছিল। কালান্তরের নির্বিঘ্নে যাত্রাপথে যা চিরস্থায়ী স্বজাত্য বোধেরও এক নির্মল অনুভব।
শুধু বাংলা ভাষাই নয়, বিশ্বের ভিনদেশী ভাষাভাষীদের জন্যও এক অবধারিত ঐশ্বর্যে গাথা। হাতে কোন স্ক্রিপ্ট ছিলই না। দেশ ও জাতির প্রতি নির্মোহ আবেগ আর নিজের কথা বলার আকর্ষণীয় ক্ষমতা ও শৌর্যে কি উপহার দিলেন সেদিন আপামর লড়াকু জাতিকে আজও তা মুগ্ধতার বিস্ময়। তেমন ঘোর কাটতে না কাটতেই অমানিশার নিকষ অন্ধকার বঙ্গবন্ধুসহ সারাদেশকে অনধিগম্য এক কঠিন বেষ্টনীতে আটকে দিল। সেখান থেকেও বেরিয়ে আসতে ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশ ও জাতিকে মুক্তির নতুন গন্তব্যও স্থির করে দিল। সেই রাতেই বন্দী হলেন পাকিস্তানী সামরিক শাসকের হাতে। আটক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হলো পাকিস্তানে। তারপরে নয় মাসের রক্তাক্ত অভিযাত্রা আর অস্থিরতায় যে দুর্ভোগ পার করতে হয়েছিল। তা ইতিহাসের জঘন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায়।
ফিরে এলেন স্বাধীন ভূমিতে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি। যুদ্ধবিদ্ধস্ত, ক্ষতবিক্ষত একটি দেশকে নতুন মাত্রায় আলাদা পুনর্গঠনের দায়িত্ব বোধে শুধু নজরই দিলেন না, আরও বেশি করে ভাবলেন– কিভাবে মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে দাঁড়ানো যায়। শঙ্কিত হয়ে প্রমাদ গুনল দেশীয় অপশক্তিÑ যুদ্ধাপরাধীরাই শুধু নয়, বিশ্ব নেতৃত্বও কেঁপে উঠল অনন্য এক অজেয় পুরুষের অভাবনীয় জগৎজোড়া স্ফুরণে।
এরই দুঃসহ চক্রান্তে বাঙালী জাতিকে পড়তে হয় এক অসহনীয় কোপানলে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের আলোকিত ঐতিহাসিক মুহূর্ত ঢেকে গেল ঘন মেঘের অন্ধকারে। অসহনীয় গর্জনে বাংলার আকাশ বাতাস কেঁপে উঠল। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত হত্যাযজ্ঞে যে নির্মমতার আবর্ত তৈরি করা হলো তা যেন নয় মাসের দুঃসহ অধ্যায়কেও অতিক্রম করে গেল।
সে সময় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। দিনক্ষণ ঠিক করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। জাতির জনক নিজেই স্বনামখ্যাত উচ্চশিক্ষার এই জ্ঞানপীঠের শিক্ষার্থী। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সে সময় তিনি সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তিনিই এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। সারাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।
কিন্তু এই মহিমান্বিত সমাবর্তনের আলোকোজ্জ্বল অধ্যায় রক্তস্রাত স্রোতে ভেসে যাবে তা ভাবনারও অতীত একটি অসহনীয় বিষয়। আড়ম্বর আর উৎসবে সজ্জিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর মুহূর্তের ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ চলে গেল পুনরায় এক চরম ইতিহাস বিকৃতি এবং অবর্ণনীয় অস্তিত্ব সঙ্কটের দোরগোড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন ধর্ষিত হলো। জাতীয় সংবিধান ধুলায় লুণ্ঠিত হয়ে বিসর্জনের শেষ ধাপে উপনীত হলো। ভোরের আলো ফোটার আগেই বঙ্গবন্ধু এবং তার নিকটতম স্বজনদের নিষ্প্রাণ দেহ লুটিয়ে পড়ল সেই ঐতিহাসিক বাড়ির যত্রতত্র।
এর আগে স্বাধীনতা সূর্যের রক্তাক্ত যাত্রাপথে বিশ্বমানের এই বিদ্যাপীঠের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্বের যে মরণফাঁদ নির্মিত হয়েছিল, তাও জাতিকে মেধাশূন্য করার নৃশংস নিধনযজ্ঞ। আর বঙ্গবন্ধু হত্যা সে তো যথার্থ মেধা ও মননই শুধু নয়, দেশীয় শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক বোধের ওপরও নেমে আসে দীর্ঘস্থায়ী কালোছায়া। যা দেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়।
লেখক : সাংবাদিক