
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, বিপুল পরিমান মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার সহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
২। র্যাব ফোর্সেস এর সদস্যদেরকে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় র্যাব সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কৌশলগত দক্ষতার উন্নয়নের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে এ বিষয়ক আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি র্যাব ফোর্সেস এর সদস্যদের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং দায়িত্ব পালনকালে মানবাধিকার বিষয়ে আরও যত্নবান হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায়, ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখ র্যাব ফোর্সেস এ কর্মরত সকল পদবীর কর্মকর্তাদের মাদকদ্রব্য সহ সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২’ বিষয়ে অধিকতর ধারণা প্রদানের নিমিত্তে র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এ সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শাহ আলম, অতিরিক্ত আইজিপি (অবঃ), বাংলাদেশ পুলিশ। উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-১), একেএম শহিদুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালকগণ। এছাড়াও র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের পরিচালকগণ, অন্যান্য অফিসারবৃন্দ, ঢাকাস্থ সকল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ভিটিসির মাধ্যমে র্যাবের ব্যাটালিয়ন সমূহের সকল কর্মকর্তাগণও এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
৪। আলোচনায় জনাব মোঃ শাহ আলম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের নির্মূল করা। তিনি আরও বলেন, মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধ হচ্ছে এক ধরনের সংঘবদ্ধ অপরাধ। এই সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তবে এর জন্য প্রয়োজন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমূহের সমন্বিত পদক্ষেপ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
৫। এছাড়াও তিনি ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২’ সম্পর্কে সেমিনারে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, জনসচেতনতা এবং কার্যকর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সম্ভব। শাস্তির বিধান শক্তিশালী করা এবং মামলার প্রমাণ সংগ্রহ ও তদন্তের মান আরও উন্নত করার মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব।৬। এছাড়াও সেমিনারে উভয় আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, যা র্যাব ফোর্সেস এর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতে র্যাব ফোর্সেস আরও ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে প্রত্যয়ী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজু