ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ঢাবির আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস

‘সততার, ন্যায়ের মানুষের সবার ভেতরেই কিন্তু আল্লাহ তা’আলা সেই শক্তিটা দেন’

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১২:৩১, ১০ জুন ২০২৫

‘সততার, ন্যায়ের মানুষের সবার ভেতরেই কিন্তু আল্লাহ তা’আলা সেই শক্তিটা দেন’

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাহসী ভূমিকা পালনকারী ঢাবির আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের আলোচিত অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে তিনি সোচ্চার ছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের টকশো অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সততার, ন্যায়ের মানুষের সবার ভেতরেই কিন্তু আল্লাহ তা’আলা সেই শক্তিটা দেন। সেই শক্তিটা সে নষ্ট করে কখন? তার যদি কারো কাছ থেকে কিছু পাওয়ার থাকে, তখন তার হারানোর ভয় থাকে।’

টকশো অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকা ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌসের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনি তখন যে সাহসী ভূমিকায় আসলেন এবং আপনি যে কথা বললেন এবং দুটি লাইন, আমি যদি বলি যে, আমার ছাত্রের মুখ চেপে ধরার সাহস কে দিয়েছে আপনাদের? আপনি এটাও বললেন যে, একটা স্বাধীন দেশে এত ভয়ে বাঁচবো কেন? একটা মারলে ১০টা আসবো ১০টা মারলে লক্ষ আসবো, এটা তো কাঁদিয়েছে আমাদের।’

উপস্থাপিকা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি যে চ্যালেঞ্জটা নিলেন, আপনার শক্তির জায়গাটা একটু বুঝতে চাই।’

জবাবে অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘সততার, ন্যায়ের মানুষের সবার ভেতরেই কিন্তু আল্লাহ তা’আলা সেই শক্তিটা দেন। সেই শক্তিটা সে নষ্ট করে কখন? তার যদি কারো কাছ থেকে কিছু পাওয়ার থাকে, তখন তার হারানোর ভয় থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়ের কাছে, একজন ফ্যাসিস্টের কাছে তো আমার কিছু পাওয়ার ছিল না, আমার কিছু চাওয়ারও না। তাই আমার হারানোরও কিছু ছিল না। আর তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে আসলে আমি বরাবরই একজন প্রতিবাদী মানুষ। তার উপর আমি একজন শিক্ষক। আমি মনে করি যে মাতৃতুল্য বা পিতৃতুল্য না হলে একজন শিক্ষক হওয়া যায় না। আমি এখনো সেই জার্নিতে আছি।’

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=iHhxVu64rLg

রাকিব

×