
গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের। তারপর থেকে ভারতের পতিত স্বৈরাচার হাসিনাসহ প্রায় দেড় লাখেরও বেশি নেতাকর্মী ভারকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করছে।
জানা গেছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা এখন ভয়ানক চাপে রয়েছেন। কারণ, ভারত সরকার অবৈধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশিকে আটক করে পুশব্যাক করা হয়েছে।সর্বশেষ খবর বলছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে রহড়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের সবাই নিজেদের আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন— মজনু গাজী (৫২), মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী (৪০) এবং মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলন। মজনু গাজী খুলনার দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা এবং কামাল শেখের বাড়ি খুলনার বেতকাশি এলাকায়। তবে মেহেদী হাসানের বিস্তারিত পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ।
যদিও জানা গিয়েছিল আগস্ট থেকে এই অভিযান জোরালো হবে, তবে এই তিন জনের গ্রেপ্তার হওয়ার পরে ধারণা করা হচ্ছে, আগস্ট নয় এ মাস থেকেই অভিযান আরো জোরালো হতে যাচ্ছে। তবে এই অভিযান সরাসরি আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কিনা তা এখনো ভারত সরকার স্পষ্ট করে নি।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে থাকা আওয়ামী লীগের প্রায় দেড় লাখ নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।অনেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন, কেউ কেউ ইতোমধ্যেই আমেরিকা বা ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন।
দেশে ফিরে যাওয়ার মতো নিরাপদ পরিস্থিতি না থাকায়, নেতারা দ্বিধায় রয়েছেন। ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বলেছে।
এরিমধ্যে, আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা তাদের দেশে ফেরাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
শেখ হাসিনাও ভারতীয় সরকারের চাপের মুখে নেতাদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু তাতে নেতাদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
ভারতের নতুন অনুপ্রবেশ আইন অনুযায়ী, নাগরিক নয় এমন কাউকে দেশটিতে থাকতে দেওয়া হবে না। ফলে ভারতের অবস্থান এখন আশ্রিত আওয়ামী লীগ নেতাদের জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফুয়াদ