
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও মানসিক চাপ—সব মিলিয়ে বয়স বাড়ার আগেই অনেকেই কোলেস্টেরলজনিত জটিলতায় ভুগছেন। তবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে এখন রয়েছে কার্যকর ও প্রাকৃতিক কিছু সমাধান।
কোলেস্টেরল কী এবং কেন বাড়ে?
কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বি, যা রক্তে উপস্থিত থাকে। এটি দুটি ধরনের হয়ে থাকে—LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) ও HDL (ভাল কোলেস্টেরল)। যখন শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখনই নানা ধরনের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
অতিরিক্ত ফাস্টফুড ও তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ
-
ধূমপান ও মদ্যপান
-
পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করা
-
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
-
বংশগত প্রভাব
চূড়ান্ত সমাধান কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে তোলা। নিচে এমনই কিছু প্রমাণিত ও কার্যকর পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন:
-
ওটস, বাদাম, বীনস ও রসুন নিয়মিত খান
-
ট্রান্স ফ্যাট এবং অতিরিক্ত লবণ-চিনি পরিহার করুন
-
লাল মাংসের বদলে মাছ ও মুরগি খান
-
বেশি ফলমূল ও শাকসবজি যুক্ত করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
-
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা যোগব্যায়াম করুন
-
শরীরচর্চা HDL (ভাল কোলেস্টেরল) বাড়াতে সহায়তা করে
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক স্বস্তি বজায় রাখুন
-
প্রতিরাতে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত
-
স্ট্রেস কমাতে ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম কার্যকর
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
-
সময়মতো রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরল লেভেল মনিটর করুন
-
বেশি ঝুঁকি থাকলে ওষুধ গ্রহণ করুন, তবে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন নয়—শুধু প্রয়োজন সচেতনতা ও নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা। আজ থেকেই শুরু হোক স্বাস্থ্যকর জীবনের যাত্রা। কোলেস্টেরল এখন আর আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণই হতে পারে চূড়ান্ত সমাধান।
আলীম