
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সরকার আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও আত্মনিভর্রশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে এই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায়। আমাদের সরকার ক্ষতিকর ও দুষ্টচক্রের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। সরকার দেশের সম্পদ বিনষ্ট রোধ ও ব্যাপক অপচয় রোধসহ উন্নয়ন কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গামাটির রাজবন বিহার কমপ্লেক্স ভবনে বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আগত উপাসকগণের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি আরো বলেন, সৎকর্ম যারা করেন ও কীর্তিমান তাদের মৃত্যু নাই। আমরা সৎকর্ম করব, পরজীবনে অবশ্যই শান্তি ভোগ করবো। একজন মানুষের জন্ম, জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও মৃত্যু তখনই সার্থক হয়, যখন বিশ্বব্রহ্মা-ের সকল প্রাণীর মঙ্গলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা হয়। ধর্মীয় উৎসবে সদ্য প্রয়াত নবারুণ চাকমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
নবারুণের মৃত্যুতে স্মরণ সভায় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, মানুষের জীবন কর্ম জ্ঞান ও মৃত্যু সবকিছুই স্মরণ উৎসবে আলোচনা হয়ে থাকে। কাজেই যিনি যেমন কর্ম করবেন ঠিক তেমনি ফল ভোগ করবেন। নিজের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে নিজেকে পাপাচার কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। তিনি সকলকে ভাল কর্মে নিয়োজিত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মঙ্গল কামনায় নিজে দান দাতব্য প্রদান করেন। পরে তিনি প্রার্থনায় যোগ দেন। প্রার্থনায় সৎকর্ম, সৎ চিন্তা ও মৈত্রীর প্রসার লাভসহ সকল প্রাণীর সুখ ও শান্তি কামনা করা হয়েছে।
এ সময় উপদেষ্টার সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা তার পাশে ছিলেন।
বৈশাখী পূর্ণিমার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের স্মরণ সভায় ত্রিপিটকের বক্তব্য পাঠ ও বুদ্ধের জীবন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা সভায় রাজবন বিহারের ভিক্ষু সৌরজগৎ ভান্তে মঙ্গল তিষ্য, দীপবংশ ভিক্ষু, ধম্যানু ভান্তে, মগ লায়ন ভিক্ষু বক্তব্য রাখেন।
রিফাত